• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

নিয়ম ভেঙে মধ্যরাতে হলে অবস্থান, ক্ষমা চাইলেন উমামা ফাতেমা

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ২৫ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৮:৩১, ২৫ আগস্ট ২০২৫

ফন্ট সাইজ
নিয়ম ভেঙে মধ্যরাতে হলে অবস্থান, ক্ষমা চাইলেন উমামা ফাতেমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে নিয়ম ভঙ্গ করে মধ্যরাতে অবস্থান করায় ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এরই মাঝে, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। উমামা ফাতেমা বলেন, আমি নিয়মবহির্ভূতভাবে হলে প্রবেশ করেছি তাই হল প্রশাসনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি।

রবিবার রাত ১টার পর উমামা ফাতেমাকে রোকেয়া হলে শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা যায়। হল প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী এক হলের নারী শিক্ষার্থী অন্য হলে প্রবেশ করতে পারে না। রাতে নির্দিষ্ট সময়ের পর নারী হলগুলোর গেট বন্ধ হয়ে যায়। সে জায়গায় রাত ১টার পর উমামা ফাতেমার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এ নিয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উমামা ফাতেমার রোকেয়া হলে প্রবেশের ফলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও নির্বাচন কেন্দ্রীক মেয়েদের প্রবেশ শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু সেটি শুরু হবে  আগামীকাল থেকে। উমামা ফাতেমাও যদিও ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু আইন অমান্য করে ক্ষমা চাইলেই তো হয় না। এটিকে স্বাভাবিক করা হয়। আশা করি নির্বাচন কমিশন এটি নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে। 

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত প্যানেলের এজিএস প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উমামা ফাতেমা কোন ক্ষমতাবলে রাত সোয়া একটায় অন্য হলে প্রবেশ করেন? নিয়মনীতি শুধু অন্যান্যদের বেলায় প্রযোজ্য না কি? 

এ দিকে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, গতকাল আমার রোকেয়া হলে প্রবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল থেকে কথা তোলা হচ্ছে।

আমি গতকাল কোনো নির্বাচনী প্রচার বা মিটিং করতে যাইনি। দীর্ঘদিনের মানসিক ধকলের কারণে মেন্টাল রিলিফের জন্য বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।

আমি হলগেট ১০টায় বন্ধ হওয়ার আগেই হলে প্রবেশ করি। তাই রাত দেড়টায় আসার ব্যাপারে যে ভুয়া খবরটি ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না আমি ভোট চেয়েছি।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র ইলেকশন করার কারণে তারা অযথা হ্যারেজ করছে, যারা চায়নি আমি ইলেকশনে থাকি।

ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে অপরাধী সাজিয়ে ফেসবুকের কাঠগড়ায় বিচার বসানো হয়েছে। এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হেনস্তা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তোলা হলে আমি নিজেই রোকেয়া হলের প্রভোস্টের সঙ্গে দেখা করে কথা বলি এবং একটি এপ্লিকেশন দিই। এপ্লিকেশনের ছবি নিচে যুক্ত করেছি। যেহেতু আমি নিয়মবহির্ভূতভাবে হলে প্রবেশ করেছি তাই হল প্রশাসনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি।

উমামা ফাতেমা আরো বলেন, তবে আজকের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এক হলের শিক্ষার্থী অন্য হলে যাওয়া কোনো ফৌজদারি অপরাধ না। নিয়মবহির্ভূত হলেও নানা সময়ে এক হলের মেয়েরা অন্য হলে বিভিন্নসময় যান। এই স্বাভাবিক প্রবণতাকে ফেসবুকের কাঠগড়ায় তুলে ক্রিমিনালাইজ করা মেয়েদের চলাচলের পরিসরকে কমানোর সামিল। আমাদের সাধারণ মেয়েরা প্রতিনিয়ত এই হেনস্তার শিকার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ এর ডাকসু ইলেকশনের পর এ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ডাকসু শেষে আবার পুরোনো নিয়মেই সব ফিরে যায়। তাই বলতে পারি, আমি নির্বাচিত হলে এক হলের মেয়েরা যাতে অন্য হলে নির্বিঘ্নে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করব।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2