শেরাটনের সামনে ‘পুলিশের হাতে নারী হেনস্তা’র ভিডিও ভাইরাল
এবার দু'জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নারীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর বানানীর হোটেল শেরাটনের সামনে এই ঘটনায় ঘটে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই ভিডিও শেয়ার করেছেন নুরুল আবছার নামের এক ব্যক্তি।
সেখানে ওই নারী তার ওড়নাও টেনে নেওয়ার প্রতিবাদ ও পুলিশ সদস্য কর্তৃক তার স্বামীকের মারধরের জন্য ওই পুলিশ সদস্যদের (বলা বা লেখার অযোগ্য) গালাগাল করেন।
সিভিল পোশাকে থাকা ওই পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজনের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আকরামুল হাসান শিকদার। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। তার পুলিশ আইডি নম্বর বিপি ৯০১২১৬২৬৯৮।
এ ঘটনার ভিডিও ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ছবি ও আইডি কার্ড নিজের ফেসবুক পোস্ট করে নুরুল আবছার নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘হোটেল শেরাটনের সামনে দু'জন পুলিশ (সিভিল ড্রেসে) একটা মেয়েকে টিজিং করেছে। তার স্বামী এর প্রতিবাদ করায় রাস্তার উপরই পুলিশ মেয়েটার স্বামীকে পেটানো শুরু করেছে। ঐ মেয়ের ওড়নাও টেনে নিয়ে গেছে এক পুলিশ, তারপর মেয়েটাকে থাপড়াইছে। পুলিশের এতো পাওয়ার? পুলিশ আকাম করলে তদন্ত করতে হয় অন্য সংস্থার। কারণ পুলিশ নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য নিজেরাই আগামী কাল বলবে- টিজিংয়ের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে উল্টো অভিযোগকারীকে পিটিয়েছে মাত্র ক'দিন আগে।
সবচেয়ে ভাল লাগছে, দুই পুলিশের সামনে জনসম্মুখে ঐ মেয়ে ভিডিও অন করে মাতৃভাষায়... প্রকাশে অযোগ্য...গালি দিয়েছে। শুধু একবার নয় অসংখ্যবার এই গালি দিয়েছে। মানুষ ইতর পুলিশকে পেছনে গালি দেয়, কিন্তু এভাবে সামনে থেকে গালি দেয়ার যে সাহস মেয়েটা দেখাইছে, সেজন্য তাকে স্যালুট।নাগরিক হিসেবে আপনি সচেতন হলে এ দেশ বদলাতে বাধ্য। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত- এই দুইজন পুলিশকে ক্লোজড করা হয়েছে।’
ভিডিওতে এসময় দুজনের পুলিশের মধ্যে আকরামুল হাসান শিকদার তাঁর মুঠোফোনে করো সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। অপরজন অসহায়তের মতো তাকিয়ে ছিলেন। পাশে দাঁড়ানো উৎসুক মানুষের কাউকে কাউকে এসময় ভিডিও ধারণ করেন দেখা গেছে।
গত ২ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার সময় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা, থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। কপালে বড় একটি টিপ থাকায় মধ্যবয়সী এক পুলিশ সদস্য তাকে দেখে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ঘটনার আকষ্মিকতায় নিজেকে সামলে নিয়ে প্রতিবাদ করলে সেই পুলিশ সদস্য আরও বাজে ভাবে গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে ৪ এপ্রিল তেজগাঁও থানা পুলিশ অভিযুক্ত নাজমুল তারেককে শনাক্ত করে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: