• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

যেখানে মিলেছে আসিফ, কোকো আর ‘বেশ বেশ সাবাশ বাংলাদেশ’

প্রকাশিত: ১৬:৫৯, ১২ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
যেখানে মিলেছে আসিফ, কোকো আর ‘বেশ বেশ সাবাশ বাংলাদেশ’

আরাফাত রহমান কোকো ও আসিফ আকবর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন আজ (১২ আগস্ট)। এদিন কোকোকে ঘিরে স্মৃতিচারণ করেছেন দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর। নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস। আসিফের স্ট্যাটাসটি বাংলাভিশনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।-

আসিফ লিখেছেন- মিউজিক ডিরেক্টর ইবরার টিপু ভাইয়ের তখন উড়ন্ত ক্যারিয়ার। বিজ্ঞাপনী সংস্থার একজন জায়দান রাব্বী ক্রিকেট বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিপণন নিয়ে কাজ করেন। জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সফরে বাংলাদেশে আসছে। শহীদ জিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো জড়িয়ে পড়েছেন ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে। তিনি সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট ডিসিশান নিয়ে বিকেএসপি কেন্দ্রিক হাই পারফরমেন্স স্কোয়াড ( HP) তৈরী করলেন। ফলাফল চোখের সামনেই। 

তিনি ফিল করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটা থিম সং করা দরকার। নাট্যকার অভিনেতা সোহেল আরমান আর ইবরার টিপু মিলে তৈরী করলেন- বেশ বেশ সাবাশ বাংলাদেশ গানটি। হাতে সময় কম, জিম্বাবুয়ে সফর নাকের উপর। আমার শরীরটা ভাল ছিল না, ঠান্ডা কাশি। আবার বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম থিম সং গাওয়ার লোভও সামলাতে পারছি না। দাঁড়িয়ে গেলাম মাইক্রোফোনের সামনে, গাইলাম সাবাশ বাংলাদেশ গানটি। আরাফাত রহমান কোকো রাজনীতিতে ছিলেন না। তখন খেলা হতো বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামে। এদিকে মিরপুরে শের-এ- বাংলা  স্পেশালাইলড ক্রিকেট গ্রাউন্ড তৈরী হচ্ছে। কোকো সাহেব নিজ থেকেই আমাকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আমন্ত্রণ জানালেন। গিয়ে দেখলাম তিনি গ্রাউন্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বিসিবি অফিশিয়ালদের সাথে কথা বলছেন। 

আমাকে বললেন আর কি সংযোজন করা যায়, গানতো হলো, চলবে কোথায় কিভাবে ! তখন নিউজিল্যান্ডে প্রথম শুরু হয়েছে ক্রিকেট মিউজিক কালচার। আমি বললাম স্টেডিয়ামে সাউন্ড সিস্টেম সেট করে দর্শকদের উদ্দীপ্ত করার জন্য সাবাশ বাংলাদেশ গানসহ অন্যান্য গান বাজাতে হবে ডিজে’র মত করে। 

আরাফাত রহমান কোকো’র সাথে আমার হৃদ্যতা ছিলো ক্রিকেট নিয়ে। তিনি মিরপুরের পাশাপাশি বগুড়া শহীদ চান্দু ষ্টেডিয়ামও প্রস্তুত করেছিলেন আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য। চাইলে তিনি ক্রিকেট কেন্দ্রিক সব ক্ষমতার অধীশ্বর হতে পারতেন। সেটা তিনি করেননি, দল মত নির্বিশেষে আসল সংগঠকদের কাজ করার সুযোগে কোন বাধাকে প্রশ্রয় দেননি। মানুষটা যথেষ্ট সরল এবং ক্রীড়ামোদী ছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরাফাত রহমান কোকো’র অবদান অনস্বীকার্য। আমি উনার জানাজাও পড়েছি, তবে এতো বড় জানাজায় আর কখনো অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয়নি। আজ মরহুম আরাফাত রহমান কোকো’র জন্মদিন। শুভ জন্মদিন জনাব। আপনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। চরিত্র হনন করা খুব সহজ, তবে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা অনেক কঠিন। ভালবাসা অবিরাম…

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: