• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পাঁচজন ‘সত্যকারের’ জ্ঞানী আলেম সন্ধান করছেন নিঝুম মজুমদার

প্রকাশিত: ০০:৪১, ৬ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পাঁচজন ‘সত্যকারের’ জ্ঞানী আলেম সন্ধান করছেন নিঝুম মজুমদার

নিঝুম মজুমদার

‘সত্যকারের’ জ্ঞানী আলেম সন্ধান করছেন ব্যারিস্টার, লেখক ও আইন গবেষক নিঝুম মজুমদার। পাঁচজন আলেম সন্ধান করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। রবিবার (৫ মার্চ) রাত আটটার দিকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

বাংলাভিশনের পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- 

নিঝুম মজুমদার লিখেছেন, ‘আমি পাঁচজন ‘সত্যকারের’ জ্ঞানী আলেমের সন্ধান চাই যার কাছে গিয়ে আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাই এবং তিনিই পারবেন আমার নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে। 
এই মুহুর্তে যেহেতু আমি বাংলাদেশে আছি ফলে বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলে আমি যাবো সেই আলেমের সাথে দেখা করতে যদি তিনি আমাকে সময় দেন।’

এই আইনজীবী কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘শর্ত হচ্ছে, সেই আলেম যেন কোনোভাবেই জামাত-শিবিরের কর্মী ছিলেন কিংবা আছেন কিংবা অতীত ইতিহাসে তাদের সাথে জড়িত ছিলেন এমন না হন। জামাত শিবিরের ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া আর যে কোনো আলেমের সাথে কথা বলতে আমার আপত্তি নাই।
যে প্রশ্ন আমি আলেমদের কাছে জানতে চাইবো এবং গভীর উত্তর চাইবো তার কয়েকটির নমুনা হচ্ছে-
(১) মানুষ কি করে সৃষ্টি হলো, কেন হলো?
(২) আল্লাহর পরিচয়, তিনি কেন মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কেন তিনি এই পৃথিবী তৈরী করেছেন? আল্লাহই বা কিভাবে তৈরী হলেন? এই পৃথিবী তৈরীর আগে তিনি কোথায় ছিলেন? তিনি প্রথমে কি সৃষ্টি করলেন? কিভাবে করলেন? কেন করলেন?
(৩) আমরা কেন এলাম এই পৃথিবীতে এবং আমরা কোথায় যাবো?
(৪) জন্ম মানে কি? মৃত্যু মানে কি?
(৫) মৃত্যুর পর কিছু কি আছে? কেমন সে জীবন?
(৬) এই পৃথিবীতে এত হানাহানি, এত কষ্ট, এত মারামারি কেন? কেন তিনি চুপ করে থাকেন?
(৭) প্রতি যুগে, প্রতি সভ্যতায় পথ দেখাবার জন্য তাঁর পক্ষ থেকে কেউ কি আসেন এই পৃথিবীতে?
(৮) এক সৃষ্টিকর্তা হলে উনি এতগুলো কিতাব কেন নাজিল করেছিলেন আর কেনই বা এত ভাগ তিনি তৈরী করেছেন? কেন তিনি শুরুতেই কোরান শরীফ নাজিল করে দেন নি? তিনি এক এক জামানায় এক এক গ্রন্থ পাঠিয়ে কেন বিভাজন তৈরী করেছেন? ১০৪ টা আসমানী কিতাবের কথা সত্য হলে এই গ্রন্থ তিনি কেন পাঠাবেন যেখানে শুরুতেই কোরান শরীফ পাঠাতে পারতেন? নাকি পারতেন না?
(৯) মানুষের ভেতর কি আল্লাহর রুহ রয়েছে? আল্লাহর গুনাবলী রয়েছে? মানুষ কি আল্লাহর হুকুম বা নির্দেশ ছাড়া কিছু করার ক্ষমতা রাখে কিংবা তার নির্দেশ ছাড়া কিছু হয়? রুহ মানে কি?
(১০) আল্লাহকে মানুষ ভয় পায় কেন? কেন তাঁকে ভয় পাবার কথা বলা হয়? কেন তাঁর সাথে প্রেম ও ভালোবাসার সম্পর্ক মানুষের হয়না? মানুষ আল্লাহর ইবাদত করলে তাতে আল্লাহর কি লাভ হয়, না করলে কি ক্ষতি হয়? কেন তিনি তাঁর ইবাদত করার জন্য বলেছেন? কারনটা কি?
(১১) যে দোজখের কথা আমরা শুনি সেটি যদি আল্লাহর তৈরী হয় তাহলে কি সেটি ভয়াবহ হতে পারে? যদি ভয়াবহ হয় তা কেন হবে? মানুষ তাঁর নির্দেশ ছাড়া যেহেতু কিছু করবার ক্ষমতা রাখেন না তাহলে কেন সেই মানুষের জন্য দোজখ তিনি তৈরী করে রেখেছেন?
(১২) এই পৃথিবীতে এত ধর্ম, এত মতবাদ, এত ভাগ কেন? সব মানুষের প্রতিপালক যদি আল্লাহ হয়ে থাকেন এবং তিনিই তাঁদের প্রতিপালন করে থাকেন তাহলে মানুষ কেন তাঁর প্রতিপাল্য জীবকে শুধু ধর্মের কারনে ঘৃণা করে?
(১৩) মানুষ কেন আরেক মানুষকে কাফের বলে? কেয়ামতের দিন যদি আল্লাহ নির্ধারণ করেন কে কাফের আর কে মুসলিম তাহলে এই দায়িত্ব মানুষ কেন নেয়? তিনি কি এই দায়িত্ব মানুষের কাছে দিয়ে দিয়েছেন? তিনি যদি মুসলমান, হিন্দু, খৃষ্ঠান, বৌদ্ধ সহ সব ধর্মের মানুষের আহারের ব্যবস্থা করেন, তাঁদের প্রতিপালন করে থাকেন তাহলে সবাইকেই তিনি এক ধর্মের কেন বানিয়ে দিলেন না? কেন তিনি এভাবে ভাগ করে রাখলেন? কেন আবার অমুসলিমদের জন্য দোজখের ব্যবস্থা করে রেখেছেন যেখানে এই দুনিয়াতে তিনি তাঁদের প্রতিপালন করছেন?

 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: