• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

আরও ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ, আক্রান্ত যেভাবে

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ৩ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৯:১৩, ৩ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
আরও ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ, আক্রান্ত যেভাবে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

জানা গেছে, রোগাক্রান্ত গরুর মাংস কাটাকাটি করায় তাদের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অনেকের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশামত সদর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হাফিজার রহমান।

তিনি বলেন, গত সোমবার ওই গ্রামের মাহবুর রহমানের একটি রোগাক্রান্ত গরু স্থানীয়রা জবাই করে মাংস কাটাকাটি করে নিয়ে যান। এতে অন্তত ১১ জন অংশ নেন। চারদিন পর গত বৃহস্পতিবার ওই ১১ জনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোসকা পড়েছে এবং মাংসে পচন ধরেছে। বিশেষ করে হাত, নাক, মুখ, চোখে এসব উপসর্গ দেখা গেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম, মাহবুর রহমান বেশি অসুস্থ। তারা গাইবান্ধা রাবেয়া ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন হতে পাশের পীরগাছা উপজেলায় গরু ছাগলের মাঝে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। তার প্রভাব এখন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঘাঘট ও তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকা বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা, পৌরসভা এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা, তারাপুর ও পৌরসভায় অ্যানথ্রাক্স টিকা প্রদান করা হয়েছে। অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে বা সেই পশু জবাই করে মাংস কাটাকাটি করলে মানুষের মাঝেও অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে কারণে অ্যানথ্রাক্স রাগে আক্রান্ত গরু-ছাগল কোনো অবস্থাতেই জবাই করা যাবে না।

উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রকাপ দেখা দিয়েছে। পৌরসভায় দুটি গরু মারা গেছে। সাহাবাজ এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় ওই এলাকায় ইতোমধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মাঝে ১৩ হাজার টিকা রয়েছে। আমরা আরও চাহিদা পাঠিয়েছি। টিকা পেলে গরু-ছাগলের মাঝে প্রদান করা হবে। রোগাক্রান্ত গরু-ছাগলের মাংস খেলে মানুষ আক্রান্ত হবে না। তবে আক্রান্ত পশু পরিচর্যা করলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক বলেন, উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন হতে ৪ হতে ৫ জন অজ্ঞাত বা অ্যানথ্রাক্স রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গাইবান্ধা এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল পরিচর্যা করলে মানুষের মাঝে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2