• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

খাদ্য বিষক্রিয়ায় বছরে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ মারা যায়: আরেফিন সিদ্দিক

প্রকাশিত: ২০:২৯, ৩০ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
খাদ্য বিষক্রিয়ায় বছরে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ মারা যায়: আরেফিন সিদ্দিক

ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, পৃথিবীতে বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মারা যান। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ১০ জনে একজন খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ‌্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) আয়োজনে ‘নিরাপদ খাদ‌্য নিশ্চিতে গণমাধ‌্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশাল‌ায় তিনি এ কথা বলেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আজ থেকে ২৪০০ বছর আগে ফাদার মর্ডান মেডিসিন বলে আমরা যাকে চিহ্নিত করি হিপোক্রেটিসের একটা কথা আছে "লেট ইওর ফুড বি ইউর মেডিসিন", অর্থাৎ খাদ্যই তোমার ওষুধ, ওষুধই তোমার খাদ্য। আসলে খাদ্যতেই অসুখ। সঠিক খাদ্য যিনি খান তার হাসপাতালেও যাওয়ার দরকার হবে না, তার ওষুধ খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।’

এই শিক্ষাবিদ বলেন, খাদ্য সম্পর্কে বিজ্ঞান কী বলে? খাদ্য মানুষের জন্য কতটা পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে? রেফ্রিজারেটরে রাখলেন এটা কি মাসের পর মাস পর্যন্ত রাখলে খাবার ঠিক থাকবে? খাবারের মান ঠিক থাকবে? এই বিষয়গুলোই হচ্ছে বিজ্ঞান।’

পৃথিবীতে খাদ্যে বিষক্রিয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা উল্লেখ করে ঢাবির সাবেক উপাচার্য বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০ জনে একজন খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন। পৃথিবীতে বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ ফুড পয়জনিংয়ে মারা যাচ্ছেন। ফুড পয়জনিং যে কোনো পর্যায়ে যেতে পারে তার সাক্ষী আমি নিজে। হঠাৎ একদিন খাদ্যে বিষক্রিয়া আমার ব্লাড প্রেসার অনেক বেড়ে গেল। এ জন্য আমাকের বিমানের ফ্লাইট পর্যন্ত মিস করতে হয়েছে। 

খাদ‌্য অধিদপ্তরে কাজের কথা উল্লেখ করে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের নানা বিষয়ে কাজ আছে। কিন্তু মোটা দাগের যে কাজগুলো মানুষ যে খাদ্য গ্রহণ করবে সেই খাদ্যটি যেন নিরাপদ হয়।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ভাষণে বলেছিলেন, পৃথিবীর বহু শিশু অনাহারে রাত্রে ঘুমাতে যায়। ঘুমানোর আগে তাদের রাতের খাবার থাকে না। সকালে উঠেও তারা কাজে-কর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকের পক্ষে স্কুলে যাওয়াও সম্ভব হয় না। সেই একটা সময় গেছে যখন আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তিত ছিলাম।

রাজধানীতের বড় বড় অনেকে হোটেলকে জরিমানা করা হচ্ছে। এর দুইদিন পরে আবার আগের মতো কাজকর্ম চালাচ্ছে। এখন কী করছে তারা সেটাও তো একটা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে থাকার দরকার ছিল। 

একটা সেইফ ফুড হেয়ারিং হাউজ থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন এখানে ওয়েবসাইটে কিছু আপডেট থাকবে এবং সারা দেশের গণমাধ্যম কর্মীরা এখান থেকে তাদের তথ্য পেতে পারবেন। সত্যগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। মানুষকে সতর্ক করতে পারবেন।

খাদ‌্য কর্তৃপক্ষের চেয়‌ারম‌্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশাল‌ায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিটিভির মাটি ও মানুষের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক। আরও বক্তব্য দেন কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদসহ প্রমুখ।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: