• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

স্যানিটারি প্যাডে বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ২০:৩২, ২৩ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
স্যানিটারি প্যাডে বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারে বাড়তে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি। এমনটাই দাবি জানাচ্ছে নতুন গবেষণা। টক্সিক লিংকস দ্বারা পরিচালিত ওই গবেষণায় ভারতের ১০টি স্যানিটারি প্যাড নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওই স্যানিটারি প্যাডগুলোর মধ্যে phthalates এবং volatile organic compounds নামক রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা মহিলাদের মধ্যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্যানিটারি প্যাডগুলোর মধ্যে কার্সিনোজেন, রিপ্রোডাক্টিভ টক্সিন, এন্ডোক্রিন, অ্যালার্জেনের মতো কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। বিশেষজ্ঞদের দাবি, স্যানিটারি প্যাড তৈরির ক্ষেত্রে এই ধরনের রাসায়নিক যৌগ কিংবা ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে প্রস্তুতকারকরা বেশি মাথা ঘামান না। কিন্তু এই রাসায়নিক যৌগগুলোই মহিলাদের মধ্যে রোগের বৃদ্ধি ঘটিয়ে চলেছে।

Phthalates নামক এই ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থটি ক্যানসারের জন্য দায়ী। এটি বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকজাত পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। Phthalates পণ্যটি নরম ও নমনীয় করে তুলতে সাহায্য করে। প্রায় এক শতাব্দী ধরে এই Phthalates নামের বিষাক্ত পদার্থটি প্রসাধনী পণ্য ও স্যানিটারি প্যাড তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ওই গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ভারতে সর্বাধিক বিক্রিত দুটি স্যানিটারি প্যাডে ছয় ধরণের Phthalates রয়েছে। এর মধ্যে phthalates এর মোট ঘনত্ব প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৯,৬০০ মাইক্রোগ্রাম। এটাই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও ১২ ধরনের phthalates গিয়েছে বিভিন্ন স্যানিটারি প্যাড থেকে।

স্যানিটারি প্যাড থেকে পাওয়া গেছে আরেকটি ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, যার নাম হল ভোলাটাইল রাসায়নিক যৌগ বা (VoC)। এই রাসায়নিক পদার্থটি সহজেই বাতাসে বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এই ধরনের পণ্যের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ডিওডোরেন্ট, এয়ার ফ্রেশনার, নেইল পলিশ, মথ রেপেলেন্টে পাওয়া যায়। এই রাসায়নিক যৌগটিও মানুষের শরীরের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। স্যানিটারি প্যাডের ক্ষেত্রে এই বিষাক্ত পদার্থটি ব্যবহার করা হয় ন্যাকপিনে সুগন্ধ যোগ করার জন্য।

ভারতের ১০টি স্যানিটারি প্যাড পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এতে প্রায় ২৫ ধরনের ভিওসি রয়েছে। এই রাসায়নিক যৌগটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলে, ত্বকে প্রদাহ তৈরি করে, রক্তাল্পতার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও এই শরীরে ক্লান্তি তৈরি করে।

আজ ভারতের ৪ জন মেয়ের মধ্যে ৩ জন স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করে। এই স্যানিটারি প্যাডগুলো মহিলাদের যোনির সংস্পর্শে থাকে। অর্থাত্‍ ওই ক্ষতিকারক পদার্থগুলো নারী দেহ থেকে নির্গত রক্তের সংস্পর্শে আসছে এবং শরীর সহজেই ওই বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করতে পারছে। এতে ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি আরও রোগ দেখা দিচ্ছে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: