ডিসেম্বরের শেষে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) ভোট, রয়েছে শঙ্কাও
বার্ষিক সাধারণ সভা (১৮ নভেম্বর-২০২৩)
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস)’র বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন।
সভায় বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক আবদুর রহমান খান জিহাদ বার্ষিক সাধারণ সভার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত করে ২০২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন গঠন মূলক কাজ নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় যে সব দাবি উত্থাপন করা হয়:
১. আইসিটি ক্যাডার প্রতিষ্ঠায় কাজ করা।
২. সরকারের আইসিটি সংক্রান্ত নীতি নির্ধারনী কাজে বিসিএসকে সম্পৃক্তকরণ
৩. হাইটেক পার্কে সোসাইটির জন্য স্থায়ী জায়গা বরাদ্ধ
৪. আইসিটি পেশাজীবীদের জন্য সঠিক সময় পদন্নোতিসহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরা হয়।
বর্তমান কমিটি যেসব কাজ সম্পন্ন করেছে:
১. আইসিটি প্রফেশনালদের জন্য ইথিকাল হ্যাকিং কোর্সের ব্যবস্থা করা।
২. ডাটাসেন্টার ম্যানেজমেন্ট, প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট, সাইবার সিকিউরিটি, রোলস অব ডাটাবেইজ প্রফেশনালস, ISO27001 Lead Audition এবং CISA এক্সাম প্রিপারেশনের ব্যবস্থা করা।
৩. ডিজিটাল ফরেনসিক, ক্লাউড, AWS ট্রেনিং এর জন্য ওয়েবিনারের ব্যবস্থা করা।
৪. দেশের আটটি বিভাগে কমিটি গঠন করা।
৫. সদস্যদের জন্য কল্যাণ তহবিল ফান্ড গঠন, ট্রেনিং ল্যাব গঠন এবং ওয়েবসাইটকে আরো ডায়ানামিক করা।
সভায় বর্তমান কমিটির ট্রেজারার ড. মুহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম ২০২১ এবং ২০২২ সালের অডিট রিপোর্ট/নিরীক্ষার প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেন। পরে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন সভার বিষয় বস্তুর উপর মতামত চান এবং মতামতের ভিত্তিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি এবং বিসিএস’র আজীবন ফেলো অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুল ইসলাম বাংভিশনকে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের ভিষন বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। আমরাও সরকারের সাথে ভিষণ বাস্তবায়নে কিভাবে সহযোগী হতে পারি এই বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটিকে কাজ করতে হবে। যেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে। এছাড়া আইসিটি ক্যাডার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়েও কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সংবিধান অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে যার মাধ্যমে বিসিএস পাবে নতুন কমিটি, যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। সেই লক্ষ্যে এজিএমেও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জয়েন্ট সেক্রেটারি (এডমিন) ফাহাদ জামান চৌধুরী বাংলাভিশনকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যেই নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে সরকারি কোনো বিধি-নিষেধ না থাকলে সম্ভবত ২২ বা ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন হতে পারে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (আইসিটি) জাকিউল ইসলাম সরকার বাংলাভিশনকে বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে সেই বাধ্যবাধকতা থেকেই আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি রাখছি যদি না সরকারি কোনো বাধ্যবাধকাত আরোপ করা হয়।
আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন হতে পারে। তবে সে ব্যাপারে আগামীকাল বা পরশু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি মিটিং হবে সেখানেই নির্ধারিত হবে কত তারিখে নির্বাচন হবে। তবে সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের গুছিয়ে ওঠা বা প্রচার-প্রচারণার সময় খুবই সীমিত হবে বলে তিনি মনে করেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, ২২ ডিসেম্বর বা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যে দিনই হোক, যদি জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকারি নির্দেশনা জারি করা হয় তাহলে নির্বাচন পেছাতে বাধ্য হবে কমিটি। সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের কর্ম ঘন্টা, প্রচার-প্রচারণায় ব্যয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই।
এ বিষয়ে জাকিউল ইসলাম সরকার বলেন, সরকারি নিয়মের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। বর্তমান কমিটি আগামী তিন মাস নির্বাচন পেছার দাবি জানিয়েছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, এজিএমে উত্থাপিত তাদের দাবির পক্ষেও মৌন সম্মতি দিয়েছেন অনেক সদস্য।
সভায় বিসিএস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (এডমিন) প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভুঁইয়া, ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) রেজাউল করিম, ভাইস-প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নূরুল হুদা, জয়েন্ট সেক্রেটারি (এডমিন) ফাহাদ জামান চৌধুরী, জয়েন্ট সেক্রেটারি (ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ শাহরিয়ার হোসেন খান, জয়েন্ট সেক্রেটারি (একাডেমিক) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, ট্রেজারার ড. মুহাম্মদ জিয়াউল ইসলামসহ সোসাইটির কাউন্সিলর বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: