• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

যে কারনে ভারত ছাড়ার হুমকি দিলো হোয়াটসঅ্যাপ

প্রকাশিত: ১৫:২০, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
যে কারনে ভারত ছাড়ার হুমকি দিলো হোয়াটসঅ্যাপ

ভারতীয় আইন সংক্রান্ত সাইট “বারঅ্যান্ডব্যঞ্চ” এবং এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি হোয়াটসঅ্যাপকে এনক্রিপশন ভাঙতে হয়, তাহলে ভারত থেকে গোটা পরিষেবাই তুলে নেবে মেটার এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের একটি মামলার শুনানিতে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়।

Bar and Bench-এর প্রতিবেদন অনুসারে হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে (এন্ডটুএন্ড এনক্রিপশন) end-to-end encryption সুবিধার জন্যই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হয়। ফলে এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে। 

কোন মামলার শুনানি?
ভারতের ২০২১-এর তথ্যপ্রযুক্তি আইন (Information Technology Rules)-এর একটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল হোয়াটসঅ্য়াপ (whatsapp vs indian government) এবং তার মূল সংস্থা মেটার তরফে। ওই আইনে Rule 4 (2) বলা হয়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়া ইন্টার মিডিয়ারিজ তাদের মেসেজিং অ্যাপকে দিয়ে কোনও চ্যাটের উৎস খুঁজতে হবে। অর্থাৎ কোনও তথ্যের মূল উৎস, কোনও মেসেজ প্রথম কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কোনও আদালত বা কোনও উপযুক্ত কোনও কর্তৃপক্ষ যদি নির্দেশ দেয় তাহলে ওই মেসেজের' First Originator' কে খুঁজে বের করে চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে।  

হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, IT Rule-এর এই ধারা মানতে গেলে অসংখ্য-বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। যে সুবিধা এখন বিশ্বের কোথাও নেই। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের একটি প্রতিবেদন সূত্রে খবর, হোয়াটস্অ্যাপের পক্ষে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়েছে- এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই বলে দাবি হোয়াটসঅ্যাপের। যদিও উল্টোপক্ষের যুক্তি যে এখন যা পরিস্থিতি তাতে প্রয়োজনের কারণেই এমন মেসেজের উৎসের খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন। হিংসার ঘটনার ক্ষেত্রে এমন তথ্য পাওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করা হয়েছে।

ইনফোসেকবুলেটিন বলছে,  Information Technology (Intermediary Guidelines and Digital Media Ethics Code) Rules, 2021- এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই নানা মামলা হয়েছে। গত মার্চে বেশ কিছু মামলায় সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টে শুনানির জন্য পাঠিয়েছে। 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন: