হোয়াটসঅ্যাপ ও জিমেইলের বিকল্প আনলো ভারত

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা দিন দিন উন্নত হচ্ছে, এবং এই পরিবেশে বিদেশি অ্যাপগুলোর ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। কিন্তু তথ্যের গোপনীয়তা ও ডিজিটাল সার্বভৌমত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে ভারত সরকার ও দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিকল্প দেশীয় অ্যাপ ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের "Arattai" এবং "Zoho Mail" সামনে এসেছে যথাক্রমে হোয়াটসঅ্যাপ ও জিমেইলের বিকল্প হিসেবে।
আরাট্টাই (Arattai):
ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ২০২০ সালে তৈরি করে জোহো কর্পোরেশন। এতে রয়েছে টেক্সট, ভয়েস, এবং ভিডিও চ্যাট সুবিধা, গ্রুপ চ্যাট ও মাল্টিমিডিয়া শেয়ারিং, ইন্ড-টু-ইন্ড এনক্রিপশন, বিজ্ঞাপনমুক্ত এবং সম্পূর্ণ ভারতীয় সার্ভারে হোস্ট করা।
আরাট্টাই তৈরি করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের একটি দেশীয় বিকল্প হিসেবে। এর মূল লক্ষ্য হলো নিরাপদ ও গোপনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে ব্যবহারকারীর তথ্য দেশের বাইরে না যায়।
ডেটা সুরক্ষা ও আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অংশ হিসেবে সরকার এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহ দিচ্ছে। কিছু রাজ্য সরকার ইতোমধ্যেই অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে এই অ্যাপের ট্রায়াল শুরু করেছে।
জোহো মেইল:
জোহো মেইল (Zoho Mail): জোহো কর্পোরেশন ২০০৮ সালে জিমেইলের বিকল্প জোহো মেইল তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এটি একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ ইমেইল সেবা যা ব্যবসা ও ব্যক্তিগত ব্যবহার—উভয়ের জন্যই উপযোগী।
জোহো মেইল বিজ্ঞাপনমুক্ত ইন্টারফেস, অ্যাডভান্সড স্প্যাম ফিল্টার, কাস্টম ডোমেইন ইমেইল হোস্টিং, মোবাইল ও ডেস্কটপ অ্যাপ সাপোর্ট, ভারতীয় সার্ভারে ডেটা সংরক্ষণ করা।
অনেকেই বলছেন, সরকার ও প্রাইভেট সেক্টরের সমর্থন থাকলে, Arattai ও Zoho Mail ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম সারির অ্যাপ হয়ে উঠতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারেও ভারতীয় প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
ভারতের Arattai ও Zoho Mail শুধু প্রযুক্তিগত বিকল্প নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা, আত্মনির্ভরতা ও ভবিষ্যৎ ডিজিটাল কৌশলের প্রতীক। দেশের ভেতরে উৎপাদিত ও নিয়ন্ত্রিত এই অ্যাপ দুটি বিদেশি আধিপত্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ভারত যদি এই পথে এগিয়ে চলে, তবে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বমঞ্চেও দেশীয় প্রযুক্তির পদচারণা দৃশ্যমান হবে।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: