• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

একইদিনে ভারত-বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক সাইবার চক্রের একাধিক সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৮:১২, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৮:১৭, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
একইদিনে ভারত-বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক সাইবার চক্রের একাধিক সদস্য গ্রেফতার

সাইবার অপরাধ যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। অপরাধীরা তাদের খোলস পাল্টে বিভিন্ন পন্থায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের কার্যসিদ্ধি করছে। অনেক সময়ই তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও, অনেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটকও হচ্ছেন। 

ভারত এবং বাংলাদেশে একইদিনে আর্ন্তজাতিক সাইবার অপরাধ চক্রের একাধিক সদস্যকে আটক করেছে   স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনী। 

ভারতের সল্টলেক থেকে বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্টের নাম করে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে নয় জন সাইবার অপরাধীকে আটক করেছে পুলিশ। 

বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম জি২৪ঘণ্টা জানিয়েছে, সল্টলেকের এএল ব্লকের ৩১ নম্বর বাড়িতে কল সেন্টার চালু করে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা করতো এই চক্র। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানির বাসিন্দাদের টার্গেট বানাত অভিযুক্তরা। সেখান থেকে মাইক্রোসফট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের একটি ডেটা লিস্ট তৈরি করতো প্রতারকরা। সেই তালিকা ধরে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল ব্যবহার করে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করতো তারা। ফোনের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্টের প্রতিশ্রুতি দিতো এই চক্র। টেক সাপোর্টের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিফট কার্ডের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করতো অভিযুক্তরা। 

পুলিশ বলছে, টেক সাপোর্টের নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অ্যাপল গিফট কার্ড, গুগল পে গিফট কার্ড, টার্গেট গিফট কার্ডের মধ্যে দিয়ে ডিজিটাল টাকা তুলতো অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে সেই গিফট কার্ডগুলিকে অন্য দেশের মধ্যে দিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিতো এই চক্র।
 
বেশ কিছুদিন ধরেই এই চক্রের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। অবশেষে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার সল্টলেকের এএল ব্লকে ৩৯ নম্বর বাড়িতে হানা দিয়ে চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে। 

একই দিনে বাংলাদেশেও সাইবার অপরাধের দায়ে এটিএম কার্ড ক্লোনকারী চক্রের আন্তর্জাতিক সদস্য তুরস্কের নাগরিক হাকান জানবারকানকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। 

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিএমপি’র সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) রাজধানীর বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে ক্লোনিং কার্ড দিয়ে শতাধিকবার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন ওই তুর্কি নাগরিক। কিন্তু ব্যাংটির এন্টি স্কেমিং সফটওয়্যার থাকায় তিনি টাকা উত্তোলনে সক্ষম হননি। তার এই অপচেষ্টা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টের পেয়ে পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতারে মাঠে নামে। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সিটিটিসি গুলশান ১ নম্বর থেকে এক বাংলাদেশি সহযোগীসহ গ্রেফতার করে তাকে।

সূত্র বলছে, এটিএম কার্ড ক্লোনিংয়ের দায়ে তিনি ২০১৯ সালে ভারতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে পাঁচটি বিভিন্ন মডেলের ফোন, একটি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোনিং এটিএম কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

এই চক্রের সংগে তুরস্ক, বুলগেরিয়া, মেক্সিকো, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক জড়িত বলেও প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন হাকান জানবারকান।

বিভি/এসআই/এসডি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2