ফোনের ব্যাটারী ব্যাকাপ যে ভাবে বাড়বে

প্রতিনিয়তই স্মার্টফোনে কথা বলা, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার, ইউটিউবিং সহ নানান কাজ করা হয়। এর ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারীর আয়ু কমে যায়। আবার অনেক সময় সঠিক ভাবে ব্যাটারী চার্জ না করার কারনেও ব্যাটারীর আয়ু কমে যায়। ফোনের ব্যাটারী চার্জের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্যাকাপ ধরে রাখা সম্ভব।
নিয়ম:
১. রাতে চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকাঃ
রাত ঘুমানোর সময় ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমাতে গেলে ব্যাটারী শতভাগ চার্জ হয়ে বাড়তি চার্জে গরম হয়ে যায়। এর ফলে ব্যাটারীর আয়ু কমতে থাকে। এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
২. ০% কিংবা ১০০% চার্জ না করাঃ
অনেক সময়ই দেখা যায় আমরা স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় কখনো ফোনের চার্জ শুণ্য শতাংশ হয়েছে তারপরও ফোন ব্যবহার করছি, আবার চার্জ দেওয়ার সময় পুরোপুরি ১০০ ভাগ চার্জ করাও যুক্তি যুক্ত নয়।
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে চার্জ ত্রিশ শতাংশের নিচে আসলেই ফোন বন্ধ করে চার্জ করে নিতে হবে। চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ না করে আশি থেকে নব্বই শতাংশ হলে চার্জ না করাই শ্রেয়।
৩. ফাস্ট চার্জিং না করাঃ
স্মার্টফোনের ফার্স্ট চার্জিং প্রযুক্তিতে কম সময়েই ফোন চার্জ করতে দেখা যায়। এতে ফোন দ্রুত চার্জ হলেও ব্যাটারীর উপর চাপ পড়ে। ফলে ব্যাকাপ কমতে থাকে। তাই ফাস্ট চার্জিং এর পরিবর্তে ধীরে ধীরে চার্জ করলে ব্যাটারী ভালো সেবা প্রদান করে।
৪. ব্লুটুথ ওয়াইফাই বন্ধ রাখাঃ
ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই স্মার্টফোনের ব্যাটারী ব্যবহার করে কাজ করে। তাই এই অ্যাপস গুলো চালু থাকলে চার্জ অটো কমতে থাকে এবং ব্যাটারীর আয়ু ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই অকারনে ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই বন্ধ রাখা বুদ্ধি মানের কাজ।
৫. লোকেশন অফ রাখুনঃ
আজকাল অনেক অ্যাপই ব্লুটুথ, ওয়াইফাই ইত্যাদি ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে, সেক্ষেত্রে লোকেশন অন থাকতে হয়। কিন্তু কাজ শেষ হলে লোকেশন অফ করে রাখুন। যখন অ্যাপস গুলো ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে তখন লোকেশন এক্সেস দিন পরে অফ রাখুন।
৬. ব্রাইটনেসঃ
অনেক সময়ই আমরা না বুঝে অযথাই ফোনের ব্রাইটনেস হাই করে রাখি, এতে সবচেয়ে বেশি ব্যাটারী খরচ হয়। ব্যাটারী ব্যাকাপ বাড়াতে ফোনের ব্রাইটনেস পরিমান মত রাখুন।
নিয়মগুলো মেনে চললে অনেকাংশেই ব্যাটারীর আয়ু বাড়ে, টিকে বেশিদিন।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: