• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ফোন থেকে যেভাবে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে পড়ে !

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৬:৪৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ফোন থেকে যেভাবে ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে পড়ে !

ইদানিং কল ফাঁস বা নিজের ব্যাক্তিগত ছবি ফাঁস বড় সড় একটা ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। আলোচিত কোন ঘটনার পরেই ব্যক্তির কল রেকর্ড বা ছবি ফাঁস হতে দেখা যায়।  কিভাবে ব্যাক্তিগত ছবি ফাঁস হয়, অনেকেই বিষয়টি টেরই পান না। কিন্তু ততক্ষনে যা ঘটার ঘটে যায়। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই এসব ঝুট-ঝামেলা থেকে রেহাই মিলতে পারে। 

থার্ড পার্টি অ্যাপ: 

অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপই সেট-আপের সময় স্টোরেজ পারমিশন দিয়ে সেট-আপ করতে হয়। ফলে ঔ সমস্ত অ্যাপ আপনার অজান্তেই ফোনের গ্যালারি দেখতে পায়। তাই থার্ড পার্টি অ্যাপ সেট-আপের সময় সতর্ক থাকতে হবে। 

পাবলিক ওয়াই-ফাই: 
অনেক সময়ই আমরা কোন রেস্টুরেন্ট বা যে কোন জায়গায় পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা জানি না এটা কতটা ক্ষতিকর। হ্যাকাররা সহজেই এর মাধ্যমে ফোনে একসেস নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। 

পাবলিক চার্জিং: 

অন্যের চার্জার বা ল্যাপটপের সঙ্গে ফোনের কানেক্ট করা থেকে বিরত থাকুন । এয়ারপোর্ট বা বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে চার্জিংয়ের জন্য বিভিন্ন ক্যাবল রাখা থাকে। হ্যাকাররা অনেক সময় ক্যাবলের অপর প্রান্তে ল্যাপটপ কানেক্ট করে আপনার অজান্তে ফোন থেকে সব ফাইল চুরি করে।

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন:

ফোনের তথ্য বেহাত ঠেকাতে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ভাল কার্যকরী। কেউ আপনার সামাজিক মাধ্যমের কোন একাউন্টে প্রবেশ করতে চাইলে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু থাকলে আপনার কাছে নোটিফিকেশন যাবে এবং আপনার ওই পাসকোড ছাড়া কেউ একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। 

ফোন সারাই:
কোন কারনে আপনার ফোনে সমস্যা দেখা দিলে যখন মেকানিকের কাছে নিয়ে যান, অনেক সময়ই দেখা যায়, কোন কারনে ফোন মেকানিকের দোকানে রাখতে হয়। 
এসময় যদি আপনার মেমোরি বা ইন্টারনাল মেমোরিতে কোন স্পর্শকাতর জিনিস থাকে তবে তা অবশ্যই আপনার সংরক্ষনে রেখে ফোন দোকানে দিতে হবে। নতুবা সেখান থেকেও আপনার বিপদ ঘটতে পারে। 

পুরোনো ফোন: 

কোন কারনে যদি আপনার ফোন বিক্রি করতে হয় তাহলে ফোনটি অবশ্যই রিসেট করে নিতে হবে। কেননা ফোন কেনার পর যদি কেউ ম্যামোরি বা ইন্টারনাল মেমরি রিকোভার করে তাহলে আপনার অনেক ডেটাই পেয়ে যাবে।

এনক্রিপটেড ফাইল শেয়ার:

আপনি আপনার যে কোন ডেটা নিরাপদে আদান-প্রদান করতে চাইলে এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রযুক্তিতে আপনার পছন্দের ডিভাইস ব্যবহার করে সেন্ড করা, রিসিভ করা বা জমা করা ডাটার সুরক্ষা প্রদান করতে পারে। ফোনে থাকা টেক্সট মেসেজ থেকে শুরু করে ব্যাংকিং তথ্য পর্যন্ত সবকিছুর নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে এনক্রিপশন প্রযুক্তি।

এছাড়া, প্রতি তিনমাস পর পর নিয়মিতভাবে ফোন ও অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন।  এসব নিয়ম পালনের মাধ্যমে নিজের ফোনের ডেটাকে অনেকাংশেই নিরাপদ রাখা যায়। 
 
 

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন: