• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মহাকাশ বিজ্ঞান প্রযুক্তির গবেষণায় কাজ করবে এটুআই ও স্পারসো

বিভি/এসআই/এজেড

প্রকাশিত: ২২:২৩, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
মহাকাশ বিজ্ঞান প্রযুক্তির গবেষণায় কাজ করবে এটুআই ও স্পারসো

মহাকাশ বিজ্ঞান ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং এ-সংক্রান্ত গবেষণা-উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে এসপায়ার নোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও-এ অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটুআই- এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং স্পারসো-এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ আব্দুস সামাদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ  প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, পিএএ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-এর সিনিয়র সচিব গোলাম মোঃ হাসিবুল আলম। 

উক্ত সমঝোতা স্মারকের আওতায় খসড়া কৌশলপত্র তৈরি, কৌশলপত্রের আলোকে কারিগরি প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে স্পার্সোর দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। স্পারসো এবং এটুআই উভয় প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/এজেন্সি/ইনস্টিটিউট/সংস্থার জন্য স্পারসো কর্তৃক প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রমের চাহিদা নিরূপণ করবে এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল/আউটপুট প্রচার করবে। উভয় প্রতিষ্ঠান মহাকাশ গবেষণালব্ধ উপাত্ত হতে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ধরনের সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি হতে পারে তা অন্বেষণ করবে। স্পারসো-এর কর্মকর্তাদের জন্য এটুআই স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহায়তা করবে। এছাড়াও, নিজেদের ল্যাবরেটরি, লজিস্টিক সুবিধা, লাইব্রেরি ইত্যাদি ব্যবহারে স্পারসো এবং এটুআই পারস্পরিক সহায়তা করবে।

মহাকাশ ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তি, জ্ঞান, অবকাঠামো এবং এগুলোর শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষ স্পেস এবং রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর যথাযথ প্রয়োগ ও সম্ভাবনা তৈরি করবে। এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সমসাময়িক এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সমস্যাসমূহ কীভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হবে। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এখন থেকে মহাকাশ গবেষণায় কাজ করবে এটুআই এবং স্পারসো। এর মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্ত বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প ও কৃষিতে কাজে লাগানো সম্ভব। গবেষণা ও উদ্ভাবনের ফলে নতুন যে তথ্য পাওয়া যাবে তা সর্বাত্মক কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সৎ সাহসী পদক্ষেপের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছেন। সেজন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি গবেষণা, উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন উদ্ভাবন দিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এজেন্সি টু ইনোভেট অল্প কিছুদিনের মধ্যেই একটি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে পারবো। ভবিষ্যতে সরকার ব্যবস্থা হবে সম্পূর্ণ পেপারলেস। অর্থনীতি হবে স্মার্ট অর্থাৎ সাশ্রয়ী ও ডিজিটাল লেনদেন হবে সর্বত্র। ক্যাশলেস সোসাইটি হবে। শিগগিরই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়লকে ক্যাশলেস স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি আমাদের স্বাধীনতার মাস মার্চ মাসে আমাদের তরুণ উদ্ভাবকের তৈরি করা মডেল রকেট আমাদের বাংলাদেশের ভূ-খন্ড থেকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করবো। আমাদের স্পেস ইকোনমির যে ইকোসিস্টেম তার জন্য বিভিন্ন গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির মতো একই ভাবে বাংলাদেশে স্পেইস ইন্ডাস্ট্রিও তৈরি হবে। একদিকে আমরা মহাকাশ গবেষণায় মনোনিবেশ করবো, অপরদিকে আমরা এই মহাকাশ শিল্পের যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আছে সেটিও কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরএএইউ)-এর যৌথ উদ্যোগে এটুআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফান্ড-এর আওতায় মহাকাশ গবেষণায় রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি প্রথম মডেল রকেট উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মডেল রকেটের নকশা তৈরি, নির্মাণ এবং উৎক্ষেপণের জন্য নিরাপদ ইকোসিস্টেম তৈরির উদ্দেশ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে একই সাথে গণমাধ্যমকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মহাকাশ বিজ্ঞান ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর জনাব আনীর চৌধুরী এবং এটুআই ইনোভেশন ফান্ড প্রধান নাঈম আশরাফী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এটুআই ও স্পারসো -এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন: