• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! স্যাটেলাইট সেবা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা

প্রকাশিত: ২০:০৪, ১১ মে ২০২৩

আপডেট: ২০:০৪, ১১ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! স্যাটেলাইট সেবা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

এক সপ্তাহ আগে থেকেই সৌর ঝড়ের সতর্ক বার্তা দিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এই সৌর ঝড়ের প্রভাব যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার থাকে না। এর আগেও সৌর ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল। সব থেকে অবাক করা ব্যাপার হল, তা অপেক্ষাকৃত ছোট ঝড় ছিল। তবে সেই ঝড় পৃথিবীতে খুব বেশি ক্ষতি করেনি। 

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এবার কি তবে তার থেকেও ভয়াবহ কিছু হতে চলেছে? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? সূর্য থেকে একটি করোনাল মাস ইজেকশন (CME) প্রতি ঘন্টায় মিলিয়ন কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে চলেছে। এই ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ে পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

নাসার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সূর্যের প্লাজমা কণা থেকে গ্রহে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় আসতে চলেছে। এই ঝড়ের প্রভাবে রেডিও তরঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তারা জানাচ্ছেন। এই করোনাল ভর ইজেকশনটি চলতি বছরের ৭ মে সূর্যের বিপরীত-পোলারিটি সানস্পট AR3296 থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।

তাহলে এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে করোনাল মাস ইজেকশন কীভাবে তৈরি হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

সিএমই প্লাজমা কীভাবে তৈরি হয়?

এই CME প্লাজমা হল সূর্যের উপর তৈরি একটি চৌম্বকীয় বিস্ফোরণ। করোনাল খুব গরম প্লাজমা দিয়ে তৈরি, যা ক্রমাগত নড়ে চলেছে। যখন একটি করোনাল মাস ইজেকশন ঘটে, তখন এটি কোটি কোটি টন কণাকে অবিশ্বাস্য গতিতে মহাকাশে পাঠায়। এই কণাগুলি প্রতি ঘন্টায় ৩ মিলিয়ন কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

তাদের গতিপথ যদি কোনওভাবে পৃথিবীর দিকে হয়, তবে তার প্রভাব পৃথিবীতে পড়তে বাধ্য। স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার অফ ইউনাইটেড স্টেটস (Space Weather) আশঙ্কা করেছিল যে, এই CME পৃথিবীর চৌম্বক শক্তিকেও কমিয়ে দিতে পারে। আর এই CME থেকেই তৈরি হতে পারে ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই সৌরঝড়গুলি বেশিরভাগই খুব শক্তিশালী হয়। তবে এই ঝড় সব সময় হয় না। যথেষ্ট শক্তিশালী একটি সৌরঝড় একটি গোটা সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

এই ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ে কী প্রভাব পড়তে পারে?

সৌরঝড়ের কারণে বিদ্যুতের তারে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন ঘটনা পূর্বেও ঘটেছে। ১৮৫৯ সালে ১ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিচার্ড ক্যারিংটন ও রিচার্ড হজসন সূর্যের উপরে একটি বড় সানস্পট দেখতে পেয়েছিলেন, যখন তাঁর উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল একটি জলন্ত শিখা।

এটাই ছিল সাম্প্রতিক অতীতে পৃথিবীতে হানা দেওয়া সবথেকে শক্তিশালী সৌরঝড়। এবারের ঝড়ে স্যাটেলাইট যোগাযোগে বিরাট প্রভাব পড়তে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে মেরু অঞ্চলে অরোরাও তৈরি হতে পারে। 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2