• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আকাশ থেকে ত্রাণ ফেললো যুক্তরাষ্ট্র, তবুও খুশি নয় গাজাবাসী

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ৩ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
আকাশ থেকে ত্রাণ ফেললো যুক্তরাষ্ট্র, তবুও খুশি নয় গাজাবাসী

ক্ষুধার্ত মানুষেরা চেয়ে আছে আকাশের দিকে। বিমান থেকে পড়ছে হাজার হাজার খাবারের প্যাকেট। এমনই দৃশ্যের দেখা মিললো যুদ্ধবিদ্ধস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। 

তিনটি সামরিক বিমানে করে গাজার উপকূলীয় এলাকায় ৩৮ হাজার খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। আর প্রথমবারের মতো এই কাজটি করেছে ইসরায়েলের বন্ধু প্রতিম ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তিনটি সি–১৩০ পরিবহন বিমান খাবারের এই প্যাকটেগুলো গাজায় ফেলেছে। জর্ডানের বিমানবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেছে মার্কিন বাহিনী। এক বিবৃতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, স্থল করিডোর ও রুটের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণের প্রবাহ বাড়াতে টেকসই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিমানে করে এসব খাবার দেওয়া হয়েছে।

তবে ত্রান পেয়েও খুশি নয় গাজাবাসী। যে আমেরিকা গাজার নৃশংসতার সাথে জড়িত সেই আমেরিকার ত্রাণ শুধুই তাদের জীবন বাঁচানোর উপকরণ। এই ত্রাণ তাদের কাছে মোটেও বন্ধুত্বের কোনো বার্তা দিচ্ছে না।

আবু তালাত নামের একজন গাজাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, "গাজার সাথে যে অবিচার হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। আর আজ এই আমেরিকাই আমাদের সাহায্য পাঠাচ্ছে। তারা আসলে এই সাহায্য দিয়ে আমাদের কিনে নিতে চাচ্ছে। আমেরিকার সাহায্য পাওয়ার চেয়ে এই যুদ্ধে বেঁচে থাকা দরকার।"

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজার মানুষদের জন্য বেশ কিছু সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। বিমান থেকে খাবারের প্যাকেট দেওয়া তার প্রথম পদক্ষেপ। এর আগে গত শুক্রবার (১ মার্চ) বিমানে করে গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের খাবার সরবরাহের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ত্রাণসহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরই তিনি এমন ঘোষণা দেন। 

একদিকে যখন অসহায় গাজাবাসীদের জন্য দেয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা, অন্যদিকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে ফিলিস্তিনীদের। গাজা ভূখণ্ডের রাফাহ শহরে তাঁবু-নির্মিত আশ্রয় শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত মানুষ। মূলত ইসরায়েলি হামলার কারণে রাফাহ শহরে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন এবং অনেকে কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে তাঁবু-নির্মিত অস্থায়ী এসব আশ্রয় শিবিরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। 

প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে রোযার শুরুতেই ১০ কিংবা ১১ মার্চ। এই যুদ্ধবিরতি হলে ৪০ দিনের জন্য গাজায় অভিযান বন্ধ রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং সেখানে প্রতিদিন প্রবেশ করবে ত্রাণ ও খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাক। সেই সঙ্গে প্রতি ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2