• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হবেন?

প্রকাশিত: ১৪:২১, ৪ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ০৮:৫২, ৫ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ

সবাই ভেবেছিল এবার হয়তো পাকিস্তানে একটি স্থিতিশীল সরকার হবে। শান্তি পাবে দেশটির সাধারণ জনগণ। কিন্তু না, ক্রমেই আরও গভীর হচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক সংকট। 

জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) ভোটে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শাহবাজ শরিফ। অথচ একই সময়ে ‘একঘরে’ করে রাখা হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে। সঠিক ফলাফল প্রকাশ না করে নির্বাচনে এসেছে কারচুপির অভিযোগ। এতো কিছুর মাঝেও নতুন এই সরকার জনগণের আস্থা কতটুকু পূরণ করতে পারবে সেই প্রশ্নই এখন সবার মনে।

পাকিস্তানের অনেকেই মনে করছেন সরকার গঠিত হলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। জনগণের প্রিয় দল পিটিআই সরকার গঠন করতে না পারার কারণে জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। পিটিআই’র ডাকা বিক্ষোভগুলোতে তার নমুনাও দেখছে গোটা দেশ। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলোও রাজপথে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ভোট কারচুপির কারণে এমন সরকারকে অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় পর্যায়ে অস্বীকার করা হচ্ছে।

মোহাম্মদ ইমরান নামে একজন পাকিস্তানি বলেন, "শেহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি এর আগেও অল্প সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান কাজ হচ্ছে তার জনগণকে সমৃদ্ধ করা। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো যে , মুদ্রাস্ফীতি দিন দিন বেড়েই চলছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। তিনি আজ নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু তার পাঁচ দিন আগে পেট্রোলের দাম বাড়ানোর কথা আমরা শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার উচিত এসব নিয়ন্ত্রণ করা।"

এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সরকার গঠিত হলেও এর প্রভাব শুধু দেশের রাজনীতিতে নয় বরং দেশে অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলবে। এই বছরের শেষ নাগাদ পাকিস্তানকে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার বৈশ্বিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে পাকিস্তানকে আর্থিক শূন্যতা পূরণের জন্য চলতি অর্থবছরে ২২ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বাহ্যিক অর্থায়ন পরিচালনা করতে হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা মোটেও সম্ভব নয়।

আরেক পাকিস্তানী তারিক জাভেদের মন্তব্য, "শাহবাজ শরীফ জাল ভোটে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।  আমি মনে করি না পাকিস্তানের অবস্থার উন্নতি হবে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে এবং জনগণ  মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বেড়েছে, পরিবহন ব্যয়বহুল। আমি মনে করি না এই প্রধানমন্ত্রী এসব ঠিক করতে পারবেন।"

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শাহবাজের কাছে হেরেছেন আইয়ুব খানের নাতি ওমর আইয়ুব খান। সমালোচনা করেছেন নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর। এক সংবাদ সম্মেলনে ওমর বলেছেন, শাহবাজ শরীফের বক্তৃতায় কোনো নতুন পরিকল্পনার আভাস নেই। পঁচিশ বছর আগের গতানুগতিক কথাই বলে যাচ্ছেন তিনি। শাহবাজের কর্মকাণ্ড একজন সাধারণ বিভাগীয় কর্মকর্তার মতোই বলে মন্তব্য করেন ওমর।

১৯৯৭ সালের নির্বাচনের পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন শাহবাজ শরিফ। ভালো প্রশাসক হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফ সামরিক আইন জারি করলে পিএমএল-এন সরকার অকালে ক্ষমতাচ্যুত হয়। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু শাহবাজের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। 

রাজনীতিতে নওয়াজের তুলনায় সবসময় গৌণ ভূমিকা পালন করতেন শাহবাজ। নওয়াজ শরিফ যতোবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, ততোবারই শাহবাজ হয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। সামরিক সংস্থাসহ সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করার নীতিতেই বিশ্বাসী ছিলেন শাহবাজ।

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2