• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সরে গেলেন নিকি, ৬৮ বছর পর আরেকটি ‘রিম্যাচ’-এর অপেক্ষা

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ৭ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৩:৩৫, ৭ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ কম করেননি নিকি হ্যালি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়তে বাধ্য হলেন, নির্বাচনের লড়াই থেকে ছিটকে গেলেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। 

মনোনয়ন দৌড়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নিকি হ্যালি। জনপ্রিয়তা থাকার পরও সাউথ ক্যারোলাইনাতে ট্রাম্প তাকে হারিয়েছেন। অথচ তিনি সেখানকার সাবেক গভর্নর ছিলেন। সাউথ ক্যারোলিনার চার্লসটনে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন হ্যালি। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে এসময় তিনি বলেন, যারা ট্রাম্পকে সমর্থন করেননি, তাদের ভোট তাকে অর্জন করে নিতে হবে। আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। কিন্তু আমার এতে কোনো দুঃখ নেই।

সুপার টিউসডেতে ১৫টির মধ্যে ১৪টি ককাস-প্রাইমারিতে ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়ার পরদিনই এল নিকি হ্যালির নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধের এই খবর। রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়নে ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অন্যদের চেয়ে বেশি সময় লড়ে গেছেন নিকি হ্যালি। তবে কখনোই ট্রাম্পের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করতে পারেননি তিনি। আর এটিই প্রমাণ করে একাধিক অপরাধের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পার্টিতে ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ এখনো বেশ শক্ত।

সুপার টিউসডে নামে পরিচিত এই ভোটে দুই প্রার্থী বড় ব্যবধানে জয়লাভ করায় আগামী নভেম্বরে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিম্যাচ হওয়া প্রায় নিশ্চিত। অর্থাৎ গত নির্বাচনের মত আবারও একে অপরের বিরুদ্ধে লড়বেন বাইডেন ও ট্রাম্প। যেটিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আখ্যায়িত করছে রিম্যাচ হিসেবে। ১৯৫৬ সালের পর এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে 'রিম্যাচ' হতে যাচ্ছে। ১৯৫৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিলেন আইজেনহাওয়ার এবং স্টিভেনসন। ১৯৫২ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দী ছিলেন তারা।

প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল একাধিক ফৌজদারি মামলা। এখনো তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলার কার্যক্রম চলছে এবং আগামীতে আরও কয়েকটি মামলার তদন্ত শুরু হবে। তবে মার্কিন আইনও অনুযায়ী, কারাবন্দি থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প বড় ব্যবধানে জিতলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দলের মধ্যে কোন্দল ও ট্রাম্পের সম্ভাব্য মনোনয়ন নিয়ে খানিকটা হলেও অস্বস্তি প্রকাশ পেয়েছে রিপাবলিকান নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

অন্যাদিকে বাইডেনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল তার বয়স। ৮১ বছর বয়সে ইতোমধ্যে তিনি মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওভাল অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যদিও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বাইডেনের নিরঙ্কুশ সমর্থনের কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ বিড়ম্বনার মুখোমুখি হচ্ছেন বাইডেন। চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন আমেরিকানরা। 

 


 

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2