• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জটিল সমীকরণের দিকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্ক (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৪:৩৬, ২১ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ

বিশ্বের অন্যত্যম শাক্তিশালী বাহিনী হিসেবে সুখ্যাতি আছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর। দেশটির প্রতিরক্ষাতো বটেই অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও রয়েছে সেনাবাহিনীর দাপট। অথচ পরমাণু শক্তিধর এ দেশটির সেনাবাহিনীর ভেতরেই কি না পরিচয় লুকিয়ে ঢুকে পড়েছিল আফগান নাগরিকরা।

সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এর এক প্রতিবেদনে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেছেন, পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগান নাগরিকরা সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে সক্ষম হয়েছিল এবং তাদের বরখাস্ত করার আগে একজন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদেও পৌঁছে গিয়েছিলেন।

খাজা আসিফ বলেন, বিগত পিএমএল-এন সরকারের মেয়াদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি আফগান নাগরিকদের সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করার একটি নথিতে সই করেছিলেন। তাদের একজন ছিলেন ক্যাপ্টেন, আরেকজন লেফটেন্যান্ট।’ 

পাকিস্তানের ভেতরে আফগান নাগরিকদের তৎপরতার ইতিহাস বেশ পুরনো। জানা যায়, ২০০১ সালে ৯/১১ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আফগানিস্তানে আগ্রাসনের নেতৃত্ব দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় আফগানিস্তানে অবস্থানরত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যারা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে যায়। আর সেখানে তাদের প্রায় ২০ বছর ধরে আশ্রয় ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা দিয়ে যায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। মূলত তার পর থেকেই পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সাথে সখ্যতা শুরু হয় আফগানদের। ধীরে ধীরে পাকিস্তানের ভেতরেও ডাল-পালা গজাতে থাকে আফগানিস্তানের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর। 

সম্প্রতি আবারও চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত। গত সোমবার পাক সেনাবাহিনীর রাতভর অভিযানের পর ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তান বলেছে, সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির দাবি, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপগুলো আফগান ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত হচ্ছে। পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী টিটিপির হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৩০০ মানুষ মারা গেছে। টিটিপিকে কোনোভাবে থামাতে না পেরে পাকিস্তান সরকার নাগরিকদের বোঝাতে চাইছে, অবৈধ আফগানরাই হলো টিটিপির সন্ত্রাসী। 

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত ‘ডুরান্ড লাইন’ লম্বায় ১ হাজার ৬৫০ মাইলেরও বেশি। একই সংস্কৃতির মানুষ ভূরাজনৈতিক  কারণে সীমান্তের দুই দিকে পড়ে গেছেন। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে রুশ অভিযানের পর থেকে পাকিস্তানে প্রায় ৪০ লাখ আফগান শরণার্থী আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ শরণার্থীর কোনো কাগজপত্র নেই। একসময় ‘শরণার্থী প্রকল্প’ পাকিস্তানের জন্য লাভজনক হলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক তহবিলের অনেকখানি চলে গেছে ইউক্রেন ও গাজার দিকে। আর তাই আফগান নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে তোরজোড় শুরু করেছে পাকিস্তান। 

আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে দরকার পাকিস্তানের উদার সহযোগিতা। ফলে কাবুল সরকারের সঙ্গে ইসলামাবাদের যতো বেশি মতপার্থক্য হবে, আফগান সরকার ততো বেশি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বহুমুখী করতে চাইবে। আর এই সুযোগে ভারত আফগানিস্তানের দিকে সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দিলে জটিল এক সমীকরণে পড়ে যাবে এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি।

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2