যেভাবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়ে উঠলেন বার্নার্ড আর্নল্ট (ভিডিও)
সারা বিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও হুহু করে বাড়ছে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদের পরিমাণ। তবে নামিদামি ফ্যাশন ও কসমেটিক্স ব্র্যান্ডের ব্যবসা দিয়ে জায়গা করে নিলেন এমন একজন যিনি সবসময় চাইতেন নিজেকে আড়াল করে রাখতে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফোর্বস ম্যাগাজিনের ধনীদের শীর্ষ তালিকায় এবছর রয়েছে ৭৫ বছর বয়সী ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্ট। তার সর্বমোট সম্পদমূল্য ২২৩ বিলিয়ন ডলার। লুই ভুটন ও সেফোরাসহ বিশ্বের ৭৫টি নামিদামি ফ্যাশন ও কসমেটিক্স ব্র্যান্ডের মালিক তিনি।
সম্পদের দিক থেকে আর্নল্ট শীর্ষ সারির হলেও অন্যান্য ধনকুবেরের মতো তিনি অতটা পরিচিত নন। অঢেল সম্পদের মালিক হলেও অনেকটা আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন আর্নল্ট। ধনীদের তালিকায় বেশ কয়েকবার তিনি শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছেন। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্বীকৃতি পান।
১৯৪৯ সালে ফ্রান্সের উত্তরে রুবেইক্সে জন্মগ্রহণ করেন আর্নল্ট। পড়াশোনা শেষে পারিবারিক ব্যবসায়ে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু হয় তার। ব্যবসায়ে ধারাবাহিক পদোন্নতির মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে পারিবারিক নির্মাণ সামগ্রীর কোম্পানি ফেরেট-স্যাভিনেল-এর চেয়ারম্যান হন তিনি। এর বছর ছয়েক পরে, আর্নল্ট ফরাসি সরকারের কাছ থেকে দেউলিয়া ঘোষিত টেক্সটাইল কোম্পানি বুসাক সেন্ট-ফ্রেস কিনে নেন। দেনায় জর্জরিত গ্রুপটি আর্নল্টের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে তীরে উঠতে শুরু করে এবং এক সময় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিলাসবহুল পণ্যের কোম্পানি হিসেবে জায়গা করে নেয়। লুই ভুটন, ক্রিশ্চিয়ান ডয়ের, হাবলট, লে পার্সিয়ানের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আর্নল্টের প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচের অন্তর্ভুক্ত।
জানা যায় এখনো প্রতি শনিবার নিয়ম করে কম্পক্ষে ২৫টি দোকান ঘুড়ে দেখেন আর্নল্ট। পাশাপাশি কর্মচারীদেরকেও দিয়ে থাকেন নানা রকম দিক-নির্দেশনা। এমনকি নিজ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত থাকেন তিনি। শুধু ইউরোপ নয় ১৯৯২ সালে চীনের বেইজিংয়ে লুই ভিটনের শোরুম খুলে এশিয়ার বৃহত্তম বাজারে বাজারেও নিজের আধিপত্য জানান দেন ইউরোপের এই ধনকুবের।
ব্যক্তিজীবনে বার্নার্ড আর্নল্ট দুবার বিয়ে করেছেন, তার ৫ সন্তান রয়েছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, আর্নল্টের পরিবারের প্রত্যেকেই তার প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচ বা এর অন্তর্ভুক্ত কোনো ব্র্যান্ডের ব্যবসায়িক কর্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: