ফিলিস্তিনের হাসপাতালে কে এই স্বেচ্ছাসেবক শিশু? (ভিডিও)
বয়সটা তার মাত্র ১২। তবে এই বয়সেই সে বুঝে গিয়েছে দায়িত্ব কী জিনিস। সে বুঝতে পেরেছে হাজার হাজার নির্যাতিত ফিলিস্তিনির জন্য তারও কিছু করার আছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের আল আকসা হাসপাতাল। দিন কে দিন ভারী হয়ে উঠছে পুরো হাসপাতাল এলাকা। একের পর এক আসছে আহত মানুষ, ডাক্তার-নার্সদের উপর বাড়ছে চাপ। তবে এত এত মানুষের ভিড়েও নজর কাড়ছে ছোট্ট শিশু জাকারিয়া সারসাক। এই বিশাল জনসমুদ্রে যখন সবাই দিশেহারা তখন একদম আপন মনেই কাজ করে যাচ্ছে সে। হাসপাতালের কোথায় কি দরকার ঘুড়ে ঘুড়ে সে খেয়াল নিজেই রাখছে সে।
শিশু জাকারিয়ার চলাফেরা দেখে মনে হবে সে যেনো এই হাসপাতালেরই নিয়মিত কর্মচারী। কখনো সে কাজ করছে সুই-সিরিজ-মেডিসিন নিয়ে, কখনো এগিয়ে দিচ্ছে এম্বুলেন্সের ট্রলি। আবার কখনো তাকে দেখা যায় অভিজ্ঞ ডাক্তারের মত রোগীর ব্লাড প্রেসার মাপতে। যে জিনিস গুলো সে জানে না সেগুলো নিজ দায়িত্বে শিখে নিচ্ছে কর্মরত ডাক্তারদের কাছে থেকে। তার দক্ষ হাতের কাজ দেখে মনে হবে যেন বহুদিন ধরে এই কাজে লেগে আছে সে। তার চোখের চাহনী আর শারীরিক অঙ্গভঙ্গি দেখেই বোঝা যায় এই বয়সেও এমন কাজে কতটা পরিণত সে।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের ছয় মাসে হামলার শিকার হয়েছে ফিলিস্তিনের অনেকগুলো হাসপাতাল। যে কয়টি হাসপাতাল টিকে গেছে তার মধ্যে এই আল-আকসা হাসপাতাল একটি। তবে এখানে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনীরা জানে না কতদিন এখানে নিরাপদে থাকতে পারবে তারা।
আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী রায়কে উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর চলা নিরলস এই হামলায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৫ হাজার ৮১৫ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: