মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিশেষ দুই শহরে নিঃশ্বাস ফেলছে বিদ্রোহীরা
প্রতীকী ছবি
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর স্বর্গরাজ্য পাইন ও লুন শহরের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার দাবি করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। এই অবস্থায় জাতিসংঘ বলেছে, জনগণকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করার কালো মাইলফলক গড়েছে মিয়ানমার।
আরাকান আর্মির সাথে তুমুল লড়াইয়ের পর সোমবার (৬ মে) রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তা বাহিনীর পাঁচটি ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার হাতছাড়া হয়। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পর আত্মসমর্পণ করে জান্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য। বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা থামাতে আরাকান ও বুথিডাং শহরের সংযোগ সেতু মাইন বিস্ফোরণে ধসিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফুট ওপরে অবস্থিত পাইন ও লুন শহরের কাছাকাছি পৌছে গেছে বিদ্রোহীরা। শহরটি জান্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপদ আবাস হিসেবে পরিচিত। গত বছর অক্টোবরের শেষে মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ নীপিড়ত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়লে বেকায়দায় পড়ে জান্তা বাহিনী।
এদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের সময়ের তুলনায় গত ছয় মাসে বাস্তুচ্যুতি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে গৃহহারা করে মিয়ানমারে কালো অধ্যায় রচনা করেছে বলেও আক্ষেপ করেছে জাতিসংঘের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়ক। সূত্র: ইরাবতি
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: