একদিন না যেতেই দোনেৎস্কের আরেক অঞ্চল হারাল ইউক্রেন
যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে এক মাস আগে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কার্স্ক প্রদেশে অনুপ্রবেশ করে হামলা শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এ ধরনের আকস্মিক হামলার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না রাশিয়া। সেই ফাঁকে প্রদেশের ১ হাজার ৩শ’ বর্গকিলোমিটারের মতো জায়গা দখলে নিয়েছে বলে দাবি কিয়েভের। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেন্সকির মতে আগামীতে রাশিয়ার সাথে সমঝোতা আলোচনার ক্ষেত্রে কার্স্কের এই দখল করে নেয়া ভূখণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে ইউক্রেন বেশিদিন ওই এলাকা ধরে রাখতে পারবে না বলে মনে করছে মিত্ররা। পশ্চিমা দেশগুলোর একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। ব্লুমবার্গ বলছে, পশ্চিমাদের ধারণা রাশিয়া যেভাবে কার্স্কে হামলা জোরদার করছে, তাতে কয়েক মাসের মধ্যেই কার্স্ক ছাড়তে বাধ্য হবে ইউক্রেনীয় সেনারা।
শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় কার্স্কে ইউক্রেনের ২৮০ সেনা হতাহত হয়েছে। এছাড়া শত্রুপক্ষের বেশকিছু সাঁজোয়া যান ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্রসরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
একই সাথে বিবৃতিতে দোনেৎস্কের আরো একটি অঞ্চল দখলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, জোরালো হামলায় ইউক্রেনীয় সেনাদের পিছু হটিয়ে কালিনোভো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মধ্য রণাঙ্গনের সেনারা। এর আগে শুক্রবার এক বিবৃতিতে শেষ সপ্তাহে দোনেৎস্কের ৬টি অঞ্চল দখলে নেয়ার কথা জানানো হয়।
এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর এক ব্যর্থতা ও কার্স্কে হামলার পর রুশ বাহিনীর পাল্টা হামলা প্রতিহত করতে না পারার দায় চাপিয়ে শিগগিরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেন্সকি সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ আলেকসান্দার সার্স্কিকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছেন। এমনটাই মনে করছেন দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরি লুৎসেঙ্কো। সাবেক এমপি বোরিস্লাভ বেরেযার ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিজের ওপর থেকে যুদ্ধের ব্যর্থতার দায় সরিয়ে নিতে যেলেন্সকির কিছু বলির পাঁঠা প্রয়োজন। সার্স্কি হতে যাচ্ছেন সেই বলির পাঁঠাদের একজন।
বিভি/এইচজে
মন্তব্য করুন: