• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১০ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নিহত শিশুদের উৎসর্গ করে ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো পাকিস্তান

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১০ মে ২০২৫

আপডেট: ১৩:২০, ১০ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
নিহত শিশুদের উৎসর্গ করে ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

এবার পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আল-ফাতেহ-১’ নামক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতে হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ১০ মে সকালে ভারতের আগ্রাসনে নিহত শিশুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। খবরটি জানিয়েছে জিও নিউজ। এদিকে, সেনাবাহিনীর এক সদস্য জিও নিউজকে বলেন, পাকিস্তান নিষ্পাপ আত্মাদের আত্মত্যাগ কখনো ভুলে যায়নি ও কখনোই ভুলবে না।

এদিকে, দেশটির আইএসপিআর একটি ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে দেখা যায়, একটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী গাড়ির গায়ে নিহত শিশুদের নাম সংবলিত একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই শিশুরা পাকিস্তানের বেসামরিক অঞ্চলে ভারতের হামলায় প্রাণ হারায়।

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’এর জবাবে এবার ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ঘোষণা করে পাকিস্তান। ‘বুনিয়ান মারসুস’একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হলো ‘সীসা দিয়ে তৈরি কাঠামো’। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো এই অভিযানটি ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের একটি আয়াতের অংশ, যেখানে বলা হয়েছে: ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে, যেন তারা একটি সীসাঢালা প্রাচীর।’ কোরআনের ৬১ নম্বর সুরা আস-সফ-এর ৪ নম্বর আয়াত এটি।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতীয় বাহিনীর অকারণ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় তারা একাধিক ফাতেহ-১ সার্ফেস-টু-সার্ফেস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এই হামলা সাম্প্রতিক সংঘাতে নিহত শিশুদের স্মৃতিতে উৎসর্গ করা হয়েছে।

তবে, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নির্দিষ্ট স্থান প্রকাশ করা হয়নি। সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অজ্ঞাত স্থান থেকে একাধিক আল-ফাতেহ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে, যাতে ভারতের কোনো বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি না ঘটে। 

পাক-ভারত দীর্ঘদিনের উত্তেজনা নতুনভাবে শুরু হয় ৭ মে। ভারতের একপাক্ষিক হামলায় অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। এসময়, নিহত হয় শিশুরাও। ভারতের এই হামলার পাল্টা জবাবে ৫টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও বেশ কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করে পাকিস্তান। এদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করে, প্রায় ৮০টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এই ড্রোনগুলো ইসরাইলের তৈরি হারপ ড্রোন।

এছাড়া, ভারত নূর খান, মুরিদ ও শোরকোটে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানায় সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিমান থেকে ছোঁড়া হয়।

এদিকে, পাকিস্তান আইএসপিআর মহাপরিচালক এক বিস্ফোরক মন্তব্যে জানান, ভারত আফগানিস্তানেও মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের এই বেপরোয়া আচরণ পুরো অঞ্চলকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

ডিজি আইএসপিআর জানান, পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ)-এর সব সম্পদ সুরক্ষিত রয়েছে। তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে, ভারতের ধারাবাহিক হামলার জবাবে পাকিস্তান সেনা বাহিনীও ইতোমধ্যে পাল্টা  আক্রমণ শুরু করেছে।

এক নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জিও নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের ৭টি সামরিক স্থানকে লক্ষবস্তু বানিয়েছে পাকিস্তান। এগুলো হলো- পাঠানকোট, উদমপুর, গুজরাট, রাজস্থানের একটি বিমানঘাঁটি এবং ব্রাহমোস মিসাইল সংরক্ষণ কেন্দ্র।

বিশেষ করে উদমপুর বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ফাতেহ-১’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের উরি অঞ্চলের একটি আর্মি ব্রিগেড সদর দফতর ও সরবরাহ গুদাম ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও দাবি করা হয়। অপরদিকে, সাইবার হামলা করে ভারতের ৭০% বিদ্যুৎ গ্রিড অকার্যকর করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
 
 

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন: