মোদির ভাষণকে ‘উস্কানিমূলক’ বললো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়ে তা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১৩ মে) এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর এ কথা জানায়।
এ বিবৃতিতে বলা হয়, যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন এই ভাষণ মিথ্যাচার, রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সুস্পষ্ট অবজ্ঞার বার্তা দেয়। এ ধরনের বক্তব্য দক্ষিণ এশিয়ায় বিপজ্জনক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
এতে বলা হয়, এই যুদ্ধবিরতি বেশ কয়েকটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহায়তায় সম্ভব হয়েছে, যারা শান্তিপূর্ণ বার্তা নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো। ‘মরিয়া ও হতাশ’ হয়ে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চেয়েছে বলাটা মিথ্যাচার। পেহেলগামের হামলার ঘটনায় যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যার উদ্দেশ্য হলো সামরিক আগ্রাসনের জন্য অজুহাত তৈরি করা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন, জম্মু-কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে আনা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কাশ্মির সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মিরি জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করি।
এতে বলা হয়– আমরা আশা করি, ভারত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করবে। ভারত যদি ভবিষ্যতে আগ্রাসন দেখায়, তবে তার জবাব দেবে বলেও জানায় পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, সোমবার (১২ মে) রাতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পাকিস্তানের অনুরোধে ভারত প্রত্যাঘাত স্থগিত রেখেছে। এ সময়ে ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ প্রতি পাকিস্তানের আচরণ লক্ষ করা হবে। ‘সন্ত্রাসবাদে’ পাকিস্তানের মদদ বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে আবার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। এ সময় পারমাণবিক অস্ত্রের তোয়াক্কাও করা হবে না। ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ও সহ্য করা হবে না। সন্ত্রাসবাদ আর আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।
এর আগে, গত শনিবার (৯ মে) পাল্টাপাল্টি হামলা থামাতে রাজি হয় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে টানা চার দিন ধরে সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: