• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

একদিকে ইরানকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প, অন্যদিকে নতুন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ২০:১৩, ১৩ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
একদিকে ইরানকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প, অন্যদিকে নতুন নিষেধাজ্ঞা

আলোচিত পরমাণু প্রকল্পকে ঘিরে ইরানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখনই দেশটির প্রশংসা করেন তিনি। যদিও তার মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই, তেহরানের সামরিক গবেষণাকেন্দ্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওয়াশিংটন। এবার এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র বিষয়ক গবেষণা সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ডিফেন্সিভ ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এসপিএনডি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা ও একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইরানের ওই কর্মকর্তারা দেশটির পরমাণু প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ও তাদের কর্মকাণ্ড পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম গোপন রাখা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের যাবতীয় সম্পদ জব্দ করা হয়েছে ও দেশটিতে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো মার্কিন সংস্থাও তাদের সঙ্গে আর্থিক বা বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে না।

পারমাণবিক ইস্যুতে একের পর এক পরোক্ষ বৈঠকে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান। বৈঠকের পর উভয়পক্ষ থেকে ইতিবাচক বক্তব্য আসলেও সমঝোতার পথ এখনো অনেক দূর। ইরানের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরানের অর্থনৈতিক সাফল্য আর সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সোমবার (১২ মে) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দেখা যাক আমরা ইরান ইস্যুতে কি করতে পারি। তবে এ আলোচনার ফলাফল বেশ ইতিবাচক হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে। তবে কেউ পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না। তবুও এখন পর্যন্ত আলোচনায় তেহরান যৌক্তিকতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের দুইপক্ষের সমঝোতা নিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখা যায়। তবে, তার বক্তব্যের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই তেহরানের এক সামরিক অস্ত্র গবেষণাগার ও সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য না করলেও ইউরোপের দেশগুলোকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ফরাসি ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যদি ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনার ‘স্ন্যাপব্যাক’ পদ্ধতি চালু করে, তাহলে উত্তেজনা এমনভাবে বাড়বে যা আর ফিরে নেওয়া সম্ভব হবে না।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2