তুরস্কে ৬৫ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার

তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ফেতুল্লাহ গুলেন’র সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ৬৫ জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলেনকে ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে দায়ী করে আসছে আঙ্কারা।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর ৫৬ জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও সাতজন পলাতক রয়েছেন। ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আনাদোলুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ইস্তাম্বুলকে কেন্দ্র করে ৩৬টি প্রদেশে চালানো অভিযানকালে ৬৩ জন সক্রিয় সেনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়, যার মধ্যে ৫৬ জনকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে’।
হালক টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। যার আওতায় বিমান বাহিনী, জেন্ডারমারি, স্থল ও নৌবাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল তথাকথিত ‘FETO’ – অর্থাৎ ফেতুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠন। এই এফইটিও বলতে তুরস্ক সরকার গুলেনের হিজমেত আন্দোলনকে চিহ্নিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা ফেতুল্লাহ গুলেন একটা সময় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। তবে পরে তাদের সেই সম্পর্ক চরম তিক্ততায় পৌঁছায় এবং গুলেনকে ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে দায়ী করে তুর্কি সরকার। গুলেন ২০২৪ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন। যদিও তিনি জীবনভর অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে গেছেন।
গুলেনের মৃত্যুর পরও তুরস্ক সরকার ঘোষণা করে যে, তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে অভিযান ‘বিশ্বজুড়ে অব্যাহত থাকবে’। ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টার পর থেকে তুর্কি সরকার লক্ষাধিক সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, বিচারক, সেনা এবং পুলিশকে গ্রেফতার বা বরখাস্ত করেছে। এরদোগান প্রশাসনের দাবি, এসব কর্মচারী গুলেনপন্থি ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: