ট্রাম্পের ঘোষণার পর এবার সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল

ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আনার পর এবার প্রথমবারের মতো দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে শিথিল করার একটি কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। চলতি মাসের শুরুতে এই নীতিগত পরিবর্তনের পরই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন তিনি সিরিয়ার ওপর আরোপিত কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে একটি অপ্রত্যাশিত বৈঠকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা’র সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন।
এই বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার ফলে সিরিয়ায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা সরবরাহ করা সহজ হবে। এদিকে সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগ, আর্থিক সেবা ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেনদেনও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া, মানবিক সহায়তা কার্যক্রমগুলোও আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। রুবিও আরও উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে গৃহীত এই উদ্যোগগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার ভেতর এক নতুন ধরনের সম্পর্ক স্থাপনের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক মহলকে চমকে দিয়ে গত ১৩ মে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে তিনি সিরিয়ার সাবেক নেতা বাশার আল-আসাদের সময় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছেন। মে মাসের মাঝামাঝিতে মধ্যপ্রাচ্যে সফরের সময় তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো সিরিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। এখন তাদের উন্নতির সুযোগ দেওয়া উচিত। ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়ার নেতা আহমেদ আল-শারা’র সাথে দেখা করে হাত মেলান। এর কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র তাকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকেও বাদ দিয়েছিল।
এবারের এই ঘোষণাটি ট্রাম্পের সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এদিকে, সিরিয়াও আসাদের শাসনামলে চলা নির্যাতন ও ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে চলেছে।
২০১১ সালে শুরু হওয়া সংঘাত সিরিয়ার অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। যুদ্ধের প্রথম ৮ বছরে দেশের মোট অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রায় ৪৪২.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। এছাড়া, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো সিরিয়ার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আরও বাধা সৃষ্টি করে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত লেনদেন এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: