আবারও ড. ইউনুসকে নিয়ে মনগড়া প্রচারণা চালাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের পদত্যাগ নিয়ে এবার বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে শুরু করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। বিবিসি বাংলার একটি রিপোর্টকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করলেও অধিকাংশ ভারতীয় মিডিয়া এই রিপোর্টের বাইরেও নিজেদের মনগড়া তথ্য সংযুক্ত করে ভুল সংবাদ পরিবেশন করছে।
এসব রিপোর্টে তারা স্টারলিংকের বাংলাদেশে প্রবেশ, ধানমন্ডি ৩২-এর বাড়ি ভাঙচুর ও একটি কথিত মানবিক করিডোরের প্রস্তাবের মতো বিষয় জুড়ে দিয়ে মূল ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উপস্থাপন করছে। যদিও এই সবকিছুই দেশটির সংবাদপত্রের ন্যূনতম পেশাগত দায়িত্ববোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
হিন্দুস্তান টাইমস ও দ্য হিন্দুসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের মধ্যে চলমান ক্ষমতার দ্বন্দ্ব হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তাদের মতে, এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ।
দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের শিরোনাম দেওয়া হয়—‘সেনাপ্রধান বনাম প্রধান উপদেষ্টা: বাংলাদেশের নির্বাচনী সময়সূচি নিয়ে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব।’ সেখানে উল্লেখ করা হয়, জেনারেল ওয়াকার তার কমান্ডিং অফিসারদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বিষয়টিকে কৌতূহলপূর্ণভাবে উপস্থাপন করে শিরোনাম করে—‘ইউনুস কি সরে দাঁড়াতে চলেছেন?’ অন্যদিকে, ইন্ডিয়া টুডে তাদের শিরোনামে লিখেছে—‘ইউনুসের পদত্যাগের ইঙ্গিত, ঢাকায় ফের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।’ তারা তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করে, ছাত্রনেতারা ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলে সেনানিবাসমুখী মিছিলের পরিকল্পনা করছে।
এদিকে আনন্দবাজার পত্রিকার একটি রিপোর্টে আগ বাড়িয়ে বলা হয়, ড. ইউনুস জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণের খসড়া তৈরি করেছিলেন, যেখানে পদত্যাগের কারণ ও নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব তুলে ধরার কথা ছিল। তবে, ওই ভাষণ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: