• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ক্ষুধার জেরে গাজায় জাতিসংঘের গুদাম লুট, ২ জনের মৃত্যু 

প্রকাশিত: ১২:১৩, ২৯ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ক্ষুধার জেরে গাজায় জাতিসংঘের গুদাম লুট, ২ জনের মৃত্যু 

ছবি: সংগৃহীত

গাজার মধ্যাঞ্চলে জাতিসংঘের একটি খাদ্যগুদামে হানা দিয়েছে ক্ষুধার্ত মানুষেরা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-গাফারি গুদামে ক্ষুধার্তরা হানা দিলে সে সময় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরো অনেকে। ঘটনার পূর্ণ বিবরণ এখনো নিশ্চিত করছে সংস্থাটি। বিবিসির খবর।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শত শত মানুষ গুদামে ঢুকে পড়ছে এবং গুলি ছোঁড়ার আওয়াজের মধ্যেই তারা খাদ্যসামগ্রী ও আটা বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। তবে গুলির উৎস নিশ্চিত করা যায়নি।

ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে জানায়, তিন মাসের ত্রাণ অবরোধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েল কিছুটা পথ খুলে দেওয়ার পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সংস্থাটি বলেছে, গুদামে আগে থেকেই খাদ্যসামগ্রী মজুত করে রাখা হয়েছিলো বিতরণের জন্য।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গাজায় জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে, তাদের অনাহারে মরতে হবে না।

ডব্লিউএফপি একাধিকবার সতর্ক করে জানিয়েছে, মানবিক সহায়তা সীমিত করা হলে কীভাবে চরম ক্ষুধা ও বিশৃঙ্খলার দিকে পরিস্থিতি গড়াতে পারে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার ১২১টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে ছিল আটা ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী। তবে এসব সহায়তা যথেষ্ট নয় বলে জাতিসংঘ দাবি করছে।

এদিকে, মার্কিন ও ইসরায়েলি সরকারের সহায়তায় গঠিত নতুন বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) গাজায় একটি বিকল্প ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। তারা মার্কিন নিরাপত্তা ঠিকাদারদের মাধ্যমে চারটি বিতরণকেন্দ্র চালাচ্ছে এবং জাতিসংঘের কাঠামোকে পাশ কাটিয়ে সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। জাতিসংঘ এই ব্যবস্থাকে ‘অকার্যকর ও অনৈতিক’ বলে নিন্দা করেছে।

বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে জিএইচএফের বিতরণকেন্দ্রেও। রাফাহ শহরে একটি কেন্দ্র চালুর একদিন পরই মঙ্গলবার সেখানে সহায়তা নিতে আসা জনতার ভিড়ে আহত হয়েছেন ৪৭ জন—জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়।

জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গাজায় এখন এমন অবস্থা যে, লোকজন জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাক থেকেও পণ্য ছিনিয়ে নিচ্ছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক দপ্তরের প্রধান জনাথন হুইটল জানান, এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ নেই যে হামাস জাতিসংঘের মাধ্যমে পাঠানো ত্রাণ লুট করছে। বরং যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যে লুটপাট হয়েছে তা সংঘটিত করেছে অপরাধী চক্র। যারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ছাড়পত্রে কেরেম শালোম সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির সময় যেমন বড় আকারে ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ পাওয়া গিয়েছি। তেমন ধারাবাহিক সহায়তা চালু করা গেলে ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে লুটপাটের ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। গাজায় জাতিসংঘের একটি শক্তিশালী বিতরণ নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগানো গেলে অনেক প্রাণ রক্ষা করা যেতো।

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন: