• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

লাইভ চলাকালে অস্ট্রেলিয়ান নারী সাংবাদিকের পায়ে গুলি (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ১০ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারকালে অস্ট্রেলিয়ার ‘নাইন নিউজ’-এর নারী সাংবাদিক লরেন তোমাসি রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন। সরাসরি সম্প্রচারের সময় ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ঘটনাটি। 

রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদে উত্তপ্ত ছিলো গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস। এক পর্যায়ে সেখানকার পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এবং ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  আর সেই সংবাদই প্রচার করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম ‘নাইন নিউজ’-এর নারী সাংবাদিক লরেন তোমাসি। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, নাইন নিউজের মার্কিন প্রতিনিধি লরেন তোমাসি ঘটনার সময় ক্যামেরার সামনে খবর জানাচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা নীরবতার পর, পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ঘোড়ায় চড়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে রাবার বুলেট ছুড়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের কেন্দ্রস্থল থেকে তাদের সরিয়ে দিচ্ছে’।

লরেনের লাইভ শেষ হতে না হতে আচমকাই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য ওই সাংবাদিক এবং তার ক্যামেরাম্যানকে লক্ষ্য করে ‘গুলি’ ছোড়েন। যা সরাসরি এসে লরেনের পায়ে আঘাত করে। আর এই পুরো ঘটনাই ধরা পড়ে নাইন নিউজের ক্যামেরায়।

পরবর্তীতে নাইন নিউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বিক্ষোভ লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউনে অবস্থিত মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারকে কেন্দ্র করে ছিল। যেখান থেকে অনেককে আটকও করা হয়েছে। আর সেখানেই লরেন তোমাসি একটি রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন। 

নাইন নিউজ জানিয়েছে, লরেন টোমাসি ও তার ক্যামেরা অপারেটর নিরাপদে আছেন এবং তারা দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। তবে এই ঘটনা সাংবাদিকতার ঝুঁকিপূর্ণ বাস্তবতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার গ্রিনস পার্টির সিনেটর সারাহ হ্যানসন-ইয়ং প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজকে মার্কিন প্রশাসনের কাছে ‘জরুরি ব্যাখ্যা’ চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষের একজন অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিককে গুলি করা ‘সত্যিই মর্মান্তিক’ এবং ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’।

গত ৬ জুন লস অ্যাঞ্জেলেসে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নামে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী বাহিনী ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বা আইসিই। সেই অভিযান চলাকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের উপশহর প্যারামাউন্টে পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের।প্যারামাউন্ট উপশহরটি মেক্সিকো ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসী অধ্যুষিত। এসব অভিবাসীদের বেশিরভাগেরই বসবাসের বৈধ নথিপেত্র নেই এবং তারা নিজেদের মধ্যে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেন।

বিক্ষোভকারীরা সরকারি কোনো ভবনে হামলা না করলেও  শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন: