হোয়াইট হাউসের সামনে মার্কিনিদের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ (ভিডিও)
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাত স্তিমিত না হয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে যাচ্ছে। তেহরানের নজিরবিহীন হামলার মুখে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চাইলে দেশটি তাতে সাড়া দিতে পারে বলে আভাস মিলছে। এতে তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের সরাসরি যুদ্ধে নামার শঙ্কা বাড়ছে।
এমন অবস্থায় গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর তৃতীয় একটি ডেস্ট্রয়ার প্রবেশ করেছে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে। আর একটি দ্বিতীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠানো হচ্ছে আরব সাগরের দিকে। এরই মধ্যে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এখনই হামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দিচ্ছেন না তিনি।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেশটির সাধারণ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাত থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়ে হোয়াইট হাউজের সামনে সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন শতশত মার্কিন নাগরিক। এ সময় তাদের হাতে যুদ্ধবিরোধী বিভিন্ন লেখা সম্বলিত ফেস্টুন পতাকা দেখা যায়। ইরান,ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়েও প্রতিবাদ করেন অনেকে। যুদ্ধবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হোয়াইট হাউজ এলাকা।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন যুদ্ধতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়ার বিষয়টি মার্কিনীদের কাছে নতুন কোনো ঘটনা নয়। বহু মার্কিন নাগরিকের আত্মীয়-স্বজন এসব যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন। আবার অনেকেই যুদ্ধ-পরবর্তী ট্রমা নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন এই যুদ্ধগুলো এখন তাদের জন্য অপ্রয়োজনীয়।
যুক্তরাষ্ট্রে চালানো সাম্প্রতিক কিছু জরিপে দেখা গেছে অধিকাংশ আমেরিকান চান না যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল-ইরান বা গাজা যুদ্ধের মতো সংঘাতে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করুক। ১৮ জুন সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ ট্রাম্প সমর্থক এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হস্তক্ষেপের বিরোধী। এছাড়া ৮০ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, যুদ্ধ নয় — ইরানের সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত কূটনীতি ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: