ট্রাম্পের ‘হামলানাটকের’ মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধবিমান সরালো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: আরব নিউজ
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গরম হাওয়া দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে প্রতিহত করতে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তার আশ্বাসসহ পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হামলায় মার্কিন সহায়তার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ইরান। ইরানে হামলার বিষয়ে এখনও পূর্ণ নির্দেশনা দেননি ট্রাম্প।
এই 'হামলানাটকের' মধ্যেই ইরানের সম্ভাব্য হামলার শঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ঘাঁটি থেকে কিছু বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৮ জুন) দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও স্পষ্টভাবে জানাননি—যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় হামলা করবে কি না।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কাতারের মার্কিন দূতাবাস এক সতর্কবার্তা জারি করেছে। এতে দূতাবাসের কর্মীদের সাময়িকভাবে কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ সীমিত রাখতে বলা হয়েছে। দোহার বাইরে মরুভূমিতে অবস্থিত এই ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা।
দূতাবাসকর্মী ও কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও সরঞ্জামকে নিরাপদ রাখা। তবে ঠিক কতগুলো বিমান ও জাহাজ সরানো হয়েছে এবং সেগুলো কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানাননি।
একজন কর্মকর্তা বলেন, আল-উদেইদ ঘাঁটির যেসব বিমান শক্তিশালী সুরক্ষার আওতায় ছিল না, সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাহরাইনের একটি বন্দরের জাহাজগুলোও সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এই বন্দরেই যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর অবস্থান করে।
সূত্র: আরব নিউজ
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: