বিয়ে করলে কর্মচারীদের ১০ কর্মদিবস ছুটি দিচ্ছে যে সরকার

সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত আমিরাতের নাগরিকরা বিয়ে করলে ১০ কর্মদিবসের পূর্ণ বেতনসহ ছুটি পাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে দুবাই। এ বিষয়ে দেশটির শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম বুধবার (১৬ জুলাই) নতুন এক অধ্যাদেশ জারি করেছেন।
এই অধ্যাদেশ (নং ৩১, ২০২৫) অনুসারে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যেকোনো আমিরাতের নাগরিক, যিনি প্রযোজ্য মানবসম্পদ আইন অনুযায়ী পরীক্ষা বা প্রবেশনকাল সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন, তিনি এই ছুটির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ বিশেষ সুবিধা পেতে হলে স্বামী বা স্ত্রী দুজনেই হতে হবে আমিরাতের নাগরিক। বিয়ের চুক্তিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালের পর সই হতে হবে এবং আমিরাতের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপ্রাপ্ত হতে হবে। বিয়ের কাবিননামার একটি কপি ছুটি আবেদনের সময় একবার জমা দিতে হবে।
এই ছুটির সময় কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা তাদের মূল বেতনসহ সব ধরনের ভাতা ও আর্থিক সুবিধা পাবেন।এই ছুটি একবারে অথবা খণ্ড খণ্ডভাবে, বিয়ের তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে ব্যবহার করা যাবে। কর্মী যদি বিয়ের ছুটির সময়ের মধ্যে জাতীয় বা রিজার্ভ সামরিক সেবার জন্য ডাকা হন, তবে বাকি ছুটি পরে ব্যবহার করতে পারবেন, তাদের কর্মস্থলে ফেরার এক বছরের মধ্যে।
কর্মী উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে এবং প্রত্যক্ষ সুপারভাইজারের অনুমতি সাপেক্ষে ছুটি এক বছর পিছিয়ে নেয়া যেতে পারে। কোনো কর্মী যদি অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে বদলি বা নিয়োগ পান, তবে তার অব্যবহৃত বিয়ের ছুটি বহাল থাকবে।
দুবাই সরকারের আওতাধীন সব আমিরাতের কর্মী, বিশেষ উন্নয়ন অঞ্চল ও ফ্রি জোনের কর্তৃপক্ষ (যেমন: দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার),আমিরাতি বিচার বিভাগের সদস্য এবং আমিরাতের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
এই ডিক্রি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হবে।এ সংক্রান্ত প্রয়োগ এবং ব্যাখ্যার জন্য দুবাই নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।ডিক্রির সঙ্গে সাংঘর্ষিক অন্য কোনো বিদ্যমান আইন বা বিধান বাতিল বলে গণ্য হবে।
এই পদক্ষেপটি আমিরাতের কর্মীদের জন্য একটি সামাজিক সহায়তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বিবাহিত জীবন শুরুর সময় মানসিক ও আর্থিক স্বস্তি দিতে ভূমিকা রাখবে।
সূত্র: খালিজ টাইমস
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: