• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

মিশরকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, দেশটির সামরিক সক্ষমতা কেন বাড়াতে চায় মার্কিনীরা?

প্রকাশিত: ১৩:১১, ২৫ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৩:১১, ২৫ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
মিশরকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, দেশটির সামরিক সক্ষমতা কেন বাড়াতে চায় মার্কিনীরা?

ছবি: সংগৃহীত

এবার মিশরের কাছে ৪.৬৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অস্ত্র চুক্তিতে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, উন্নত রাডার সিস্টেম এবং লজিস্টিক ও প্রকৌশল সহায়তা। বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। মিশরের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে এই সমরসামগ্রী প্যাকেজটি।

প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম প্যাকেজটিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, চারটি এন/এমপিকিউ-৬৪ সেনটিনেল রাডার, শত শত মিসাইল এবং এক ডজনের বেশি দিকনির্দেশনা প্রদানকারী ইউনিট। এনএএসএএমএস হলো যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ের যৌথভাবে তৈরি একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা শত্রুর যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং ক্রুজ মিসাইল মোকাবেলায় কার্যকর।

এই প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ন্যাটো সদস্য না হলেও মিশর যুক্তরাষ্ট্রের এক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। ধারণা করা হচ্ছে এই সামরিক সহায়তা দেশটির নিরাপত্তা জোরদারে ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করতেও সহায়তা করবে।

এই অস্ত্র বিক্রির প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করবে বহুজাতিক বিমান ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, ম্যাসাচুসেটস ভিত্তিক আরটিএক্স করপোরেশন। ডিএসসিএ জানিয়েছে, এই বিক্রয় অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পাঠানো হয়েছে।

যদি এটি অনুমোদিত হয়, তাহলে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সরবরাহ দেওয়ার উদ্দেশে মিশরে সফর করবেন প্রায় ২৬ জন মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা এবং ৩৪ জন ঠিকাদার। ১৯৭৯ সালে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে ওয়াশিংটন থেকে প্রতিরক্ষা সহায়তা পাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের মার্কিন মিত্র কায়রো।

যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিশর ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দৃঢ় হতে শুরু করেছে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো এই বছরের এপ্রিল ও মে মাসে অনুষ্ঠিত দুই দেশের প্রথম যৌথ সামরিক মহড়া। এর অধীনে উভয় দেশের বিমান বাহিনী দুই সপ্তাহ ধরে একত্রে প্রশিক্ষণ করে।

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন: