• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ক্ষুধার্ত গাজা: বিশ্বব্যাপী ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৬ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১১:১২, ২৬ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ক্ষুধার্ত গাজা: বিশ্বব্যাপী ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় মানবিক বিপর্যয় এখন চরমে। ক্ষুধার তাড়নায় থাকা শিশুদের গোনা যাচ্ছে হাড়। শুধু শিশুরাই নয়, অনাহারে দিন পার করছে প্রাপ্তবয়স্করাও। এই দুর্দশা যেন পৃথিবীর ইতিহাসের সকল নির্যাতন ও বঞ্চনাকেও ম্লান করে দিয়েছে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে খাবার অপচয় হলেও এক টুকরো রুটির জন্য গাজায় জীবন বাজি রাখছে কেউ কেউ। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি)-এর তথ্যমতে, গাজায় প্রতি তিন জনের একজন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, পুষ্টিহীনতার মাত্রা ভয়ঙ্করভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৯০,০০০ নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। 
 
এদিকে ক্ষুধা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশে দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) জুমার নামাজের পর ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মিছিল করে ইরানিরা। তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচিয়ে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। অনেক বিক্ষোভকারী আরব ও মুসলিম দেশগুলোর গাজার জনগণের প্রতি নির্লিপ্ত অবস্থানের সমালোচনা করেন এবং তাদের সহায়তা না করার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

চিলির সান্তিয়াগো শহরে প্রায় একশটি গাড়ির একটি মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করেন। তারা ইসরাইলকে গণহত্যাকারী বলে অভিহিত করে চিলি সরকারকে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান  জানান।  

প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভকারীরা লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে খাবারের হাঁড়ি নিয়ে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা গাজায় খাদ্য সংগ্রহের অপেক্ষায় থাকা ১,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করার নিন্দা জানান।

লেবাননের সাইদা শহরে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে এসে গাজায় দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তারা ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানান। আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের কারণে গাজার প্রায় ২২ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছেন। গত মার্চ মাসে ইসরাইল সব ধরনের রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে এই সংকট চরমে পৌঁছে। পরে মে মাসে কিছু পরিমাণে সরবরাহ চালু হলেও তা কঠোর নিয়ন্ত্রণের আওতায় রাখা হয়।

ইসরাইলের সাখনিন শহরের রাস্তায় বিক্ষোভে অংশ নেন আরব বংশোদ্ভূত বহু মানুষেরা। তারা গাজায় দুর্ভিক্ষে ভোগা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিবাদ করেছেন।

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে গাজার চলমান মানবিক সংকটের প্রতিবাদ ও গাজার মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে শতাধিক মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে ব্যানার নিয়ে মিছিল করেছেন, যেখানে লেখা ছিল—আমরা গাজার ভাইদের পাশে আছি। 

এক বিবৃতিতে ১১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থা জানিয়েছে, গাজা বর্তমানে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে। তারা জানায়, বিপুল পরিমাণ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ গাজার সীমান্তে আটকে আছে। সেগুলো ভিতরে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এবং সাহায্যকারীরাও সেখানে পৌঁছোতে পারছে না।

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন: