ওয়াশিংটনে আরও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন, অস্ত্র বহনের প্রস্তুতি (ভিডিও)
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এবার শুধু প্রশাসনিক সহায়তা নয়, অস্ত্র বহনের অনুমতিও পাচ্ছেন সৈন্যরা।
গত ১১ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান, তিনি অস্থায়ীভাবে ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে শহরটিতে ৮০০ জন ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন। শুরুতে নির্দেশনা ছিলো এসব গার্ড সৈন্য শুধু প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করবে। ফলে তারা কোনো ভারী অস্ত্র বহন করছিলেন না।
তবে সে অবস্থান থেকে এবার সরে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। জনগণের নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রশাসন বলছে, যদি দরকার হয় তবে অস্ত্র বহন করতে পারবে সৈন্যরা। ১৭ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।
পশ্চিম ভার্জিনিয়া থেকে প্রায় ৩০০–৪০০ জন সৈন্য আরও পাঠানো হবে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত নিরাপত্তা উদ্যোগে অংশ নেবেন। অনেক পর্যবেক্ষক এবং স্থানীয় নেতারা মনে করেন, এর ফলে ওয়াশিংটনে সামরিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যা শহরের নাগরিক পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এমন অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়েছে। শনিবার ডিসি পুলিশের ফেডারেলাইজেশন ও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউস অভিমুখে মিছিল করে বিক্ষোভকারীরা। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী "ট্রাম্পকে এখনই যেতে হবে" লেখা একটি বিশাল ব্যানারের পিছনে ডি.সি. শহরের মধ্য দিয়ে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। বিক্ষোভকারীরা যখন ন্যাশনাল মল এলাকায় পৌঁছান, তখন ডিসি পুলিশ অফিসারদের একটি দল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়। এসময় অনেক বিক্ষোভকারীকে ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিতে ও "হ্যান্ডস অফ ডি.সি." লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখতে দেখা যায়। তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যক্রমকে "ফ্যাসিবাদী" বলে অভিহিত করে ওয়াশিংটন ডিসি দখলের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ট্রাম্পের দাবি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির প্রবণতা থেকে ওয়াশিংটন ডিসিকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ জরুরি ছিল। যদিও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বলছে, ২০২৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে সহিংস অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও তার পর থেকে তা দ্রুত কমছে।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: