নাগরিকত্ব পাওয়ার ৩ বছর আগেই ভোটার, সোনিয়া গান্ধীর নামে মামলা

ভারতের নাগরিক হওয়ার ৩ বছর আগে আগেই ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন কংগ্রেস সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এমন অভিযোগে ভারতীয় আদালতে তার নামে মামলাও হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আদালতে অভিযোগকারী বিকাশ ত্রিপাঠীর ভাষ্য, ১৯৮৩ সালে সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিকত্ব পান, অথচ ১৯৮০ সালেই ভোটার তালিকায় তার নাম ওঠে। ১৯৮২ সালে নাম বাদ দেওয়া হলেও নাগরিক হওয়ার পর ১৯৮৩ সালে আবার তালিকায় ফেরেন।
আর এই অভিযোগকে রাজনৈতিক অস্ত্র বানিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, যে নেত্রী দেশের নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন, তার হাত ধরে কংগ্রেস দেশ চালাতে চেয়েছিল। বিজেপির মতে, এই ঘটনা কংগ্রেসের চরিত্র উন্মোচন করছে।
তবে কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি তাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই বারবার সোনিয়াকে টার্গেট করছে। তাদের মতে, জনগণের আসল সমস্যা মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, কৃষক সঙ্কট আলোচনায় না রেখে পুরনো ইস্যু ঝেড়ে তোলার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির এই কৌশল নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস। তবে জনগণ কতটা এই বিতর্কে মন দেবে, সেটাই আসল প্রশ্ন। কেননা সাধারণ ভোটার এখন পেটের ভাত আর কর্মসংস্থান নিয়েই বেশি ভাবছে। তা সত্ত্বেও সোনিয়ার বিদেশি জন্ম আর নাগরিকত্বের প্রশ্নকে বিজেপি আবারও সামনে এনে নির্বাচনী ময়দানে আগুন জ্বালাতে চাইছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: