যুক্তরাষ্ট্রকে রুখতে কতোটা প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনী?
গত ৩ সেপ্টেম্বর ভেনিজুয়েলার একটি কথিত মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এরপর ক্যারিবীয় অঞ্চলে ভেনিজুয়েলার জাহাজ চলাচলে পেন্টাগনের অভিযোগের জেরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প- এরই মধ্যে পুয়ের্তো রিকোর ঘাঁটিতে এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ সামরিক সদস্য ছাড়াও রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর সামরিক বাহিনীর বিপক্ষে ভেনেজুয়েলা আসলে কতটা শক্তিশালী?
দক্ষিণ আমেরিকার তেলসমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলা বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরোর দাবি, ভেনেজুয়েলার হাতে ৮০ লাখের বেশি মিলিশিয়া ও রিজার্ভ বাহিনী রয়েছে। তবে সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংখ্যা অনেকটাই অতিরঞ্জিত।
দেশটির স্থলবাহিনীর অস্ত্রাগারে রয়েছে ফ্রান্সের ১৭৩টি এএমএক্স-১৩ ট্যাংক, ব্রিটেনের ৭৮টি ট্যাংক এবং জার্মানির তৈরি একটি সাবালো সাবমেরিন। নৌবাহিনীর হাতে আছে একটি ইতালীয় ফ্রিগেট, ৯টি টহল নৌযান, ২৫টি সাঁজোয়া স্পিডবোট এবং সৈন্য বহনে সক্ষম তিনটি ল্যান্ডিং জাহাজ।
তেল বিক্রির অর্থে সামরিক শক্তি বাড়াতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছিলেন ভেনেজুয়েলা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ। ২০০৬ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এসব অস্ত্র কেনায় তিনি খরচ করেছিলেন প্রায় ১১০০ কোটি ডলার। তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন আধুনিক অস্ত্র হাতে পায়নি ভেনেজুয়েলা।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার মতো সক্ষমতা ভেনেজুয়েলার হাতে নেই বললেই চলে। তবুও ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক অবস্থান রক্ষায় সামরিক প্রস্তুতিই এখন দেশটির প্রধান ভরসা।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: