ইসরাইল সমর্থক চার্লি কার্ককে গুলি, আটক এক জেন-জি যুবক

ছবি: সংগৃহীত
৩৩ ঘণ্টার অভিযানের পর চার্লি কার্কের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। বিবিসির তথ্যমতে, গত ১২ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প জানান, তারা সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছেন। বর্তমানে সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মূলত, অভিযুক্তের পরিচিত এক ব্যক্তি পুলিশকে তথ্য দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেন। এসময়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তার রাজনৈতিক সহযোগী চার্লি কার্ক মারা গেছেন। ট্রাম্প বলেন, একটি অনুষ্ঠানে প্রায় ৩,০০০ মানুষের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সেসময় তার গলায় গুলি লাগে। এ ঘটনার পর চার্লি কার্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বহু মানুষ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, আটক হওয়া ব্যক্তির নাম টাইলার রবিনসন। তার বয়স মাত্র ২২ বছর। ঘটনার প্রায় ৩৩ ঘণ্টা পর ১১ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিনসন একজন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে কাজ করতেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। তারা ৩ ভাই এবং তিনিই সবার বড়। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর রবিনসনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হবে।
এদিকে, আটক হওয়ার পর বিবিসি রবিনসনের ধর্মীয় পরিচয় খুঁজে বের করে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আটক হওয়া যুবকের পরিবার মর্মন ধর্মে বিশ্বাসী। তার পরিবার মর্মন ধর্মের নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে পালন করে থাকে।
বলা হচ্ছে, রবিনসনের বাবা এফবিআই-এর ছড়ানো ছবিগুলো দেখে নিজের ছেলেকে চিনে ফেলেন। দাবি করা হচ্ছে, ২২ বছর বয়সী রবিনসন তার বাবাকে স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। সেসময় তার বাবা তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। তবে, রবিনসন তার বাবাকে জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণের চেয়ে তিনি আত্মহত্যাকে বেছে নিতে বেশি পছন্দ করবেন। পরবর্তীতে তার বাবা এক পারিবারিক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই বন্ধুই পরে পুলিশকে খবর দিলে আটক হয় রবিনসন।
এদিকে, নজরদারি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে একটি ধূসর রঙের গাড়ি চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এটি গুলির ঘটনার প্রায় ৪ ঘণ্টা আগে। তদন্তকারীরা কিছু ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রবিনসন রাজনৈতিক বিষয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন।
এদিকে, চার্লি কার্ক ছিলেন ইসরাইলের কঠিন সমর্থক ও মিত্র। তার হত্যার খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের ভেতরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। চার্লির মৃত্যুর খবর আসার পর ইসরাইলের প্রতি অবিচল সমর্থনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে তাকে স্মরণ করেছেন অন্যান্য ইসরাইলি কর্মকর্তারাও। এদিকে, নেতানিয়াহু বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তিনি চার্লির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাকে ইসরাইলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে, দুঃখজনকভাবে, সেই সফর আর হলো না।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: