• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবার বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব তিমুর, ৭০% নাগরিক ৩৫-এর কম বয়সী

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১২:১৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
এবার বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব তিমুর, ৭০% নাগরিক ৩৫-এর কম বয়সী

ছবি: সংগৃহীত

এবার পূর্ব তিমুরে বিক্ষোভের ঢেউ উঠেছে। পার্লামেন্ট সদস্যদের বিনামূল্যে গাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। পার্লামেন্ট সদস্যরা ইতোমধ্যেই সরকার থেকে দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করলেও, তাদের জন্য নতুন গাড়ি কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে। এছাড়া, একটি সরকারি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। সেসময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় তারা।

পরবর্তীতে ব্যাপক জনমতের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। তবে বিক্ষোভ এখনও থেমে যায়নি। অনেকেই আবার রাস্তায় নেমে আসে। ১৭ সেপ্টেম্বর তিমুরের রাজধানীতে প্রায় ২,০০০ মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়।

এদিকে গাড়ি নিয়ে প্রথমে আন্দোলন শুরু হলেও, এখন সেই প্রতিবাদ বিস্তৃত হয়ে অবসরপ্রাপ্ত পার্লামেন্ট সদস্যদের আজীবন পেনশন সুবিধা বাতিলের দাবিতে রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এবার সাবেক এমপিদের আজীবন পেনশন সুবিধা সংশোধনের দাবি তুলেছেন।

এর আগে অনেক দেশেই এ ধরনের বিক্ষোভের দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পর নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার তরুণরাও সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসে। এবার এশিয়াতেও যুবসমাজ রাজনীতিবিদদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

এদিকে তিমুরের তরুণদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। তাদের মতে, দেশের জনগণ এখনও দারিদ্র্য আর দুর্ভোগে জর্জরিত। অথচ, পার্লামেন্ট সদস্যরা ব্যয়বহুল গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছে। দেশটি বর্তমানে তীব্র সামাজিক বৈষম্য ও উচ্চ বেকারত্বের সমস্যায় ডুবে আছে। এই পরিস্থিতি জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। তিমুরের  সাধারণ মানুষ এখনও মানসম্পন্ন শিক্ষা, পরিষ্কার পানি এবং সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। মৌলিক সুযোগ-সুবিধার চরম ঘাটতি রয়েছে দেশটিতে।

এদিকে তিমুরে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। জাতিসংঘের তথ্যমতে, দেশটির ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ৩৫ বছরের কম বয়সী। যদিও তিমুর অর্থনৈতিকভাবে এই অঞ্চলের অন্যতম দরিদ্র দেশ, তবে তাদের কিছু স্বচ্ছ নীতির কারণে প্রায়ই তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রশংসিত হয়। এই বিক্ষোভ এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে যখন সাউথ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পরবর্তীতে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে  রূপ নিয়েছে।

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন: