৩০ দেশের নাগরিকের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র ৩০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩২ এ নেওয়া হচ্ছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংখ্যাটি নির্দিষ্ট করে না বললেও নিশ্চিত করেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও কিছু দেশ নিয়ে মূল্যায়ন করছেন এবং সংখ্যাটা ৩০-এর বেশি হবে। সুরক্ষা ও বিদেশি সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলার যুক্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই নিষেধাজ্ঞা অভিবাসী, পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী—সব ধরনের ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
নোয়েম যুক্তি দেন, যেসব দেশে স্থিতিশীল সরকার নেই বা যারা নিজেদের নাগরিকদের যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারে না, তাদের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ঠিক নয়।
রয়টার্সের আগের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণ স্টেট ডিপার্টমেন্ট নথির ভিত্তিতে আরও ৩৬টি দেশকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে। এই তালিকা সম্প্রসারণের বিষয়টি গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর অভিবাসন-বিষয়ক পদক্ষেপের আরও একটি বড় ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওই ঘটনাটির সঙ্গে একজন আফগান নাগরিক জড়িত ছিলেন বলে তদন্তকারীরা জানান, যিনি ২০২১ সালে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন—যেখানে পর্যাপ্ত যাচাই হয়নি বলে ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করে আসছে। এই ঘটনার পর ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তিনি সকল থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশের অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করতে চান, যদিও তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
এ ছাড়াও ট্রাম্পের নির্দেশে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বাইডেন প্রশাসন আমলে অনুমোদিত আশ্রয় প্রার্থীদের মামলা এবং ১৯টি দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন কার্ড পুনর্বিবেচনা শুরু করেছে।
বিভি/টিটি




মন্তব্য করুন: