এবার ‘বায়রনে’ বিধ্বস্ত গাজায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি
ফিলিস্তিনের গাজায় ঘূর্ণিঝড় বায়রনের আঘাতে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।
আলজাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ গাজা থেকে জানান, ক্লান্ত ফিলিস্তিনিদের এই বিপর্যয়কর আবহাওয়ার জন্য প্রস্তুতির তেমন কিছুই ছিল না। অন্যদিকে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ লেবাননজুড়ে কমপক্ষে এক ডজন হামলা চালিয়েছে। সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্গণ।
ফিলিস্তিনের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এ ঘূর্ণিঝড় বাস্তুচ্যুতদের বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। তীব্র বাতাসে উড়ে যাচ্ছে অনেক তাঁবু, দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। তীব্র ঠান্ডায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এরই মধ্যে ঝড়ের প্রভাবে ভূমধ্যসাগরের পানির স্তর ওপরে উঠতে শুরু করেছে। সৈকতের কাছে থাকা অনেক তাঁবু তলিয়ে গেছে। ঝড়ের প্রভাবে গাজায় বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় পানি জমেছে। ভোগান্তি বেড়েছে বাসিন্দাদের।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইল বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭০ হাজার ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৯ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সাল থেকে চলা এই হামলায় ইসরাইলের ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দী করা হয়েছে।
গাজার গণমাধ্যম অফিস বলছে, ঝড় বায়রনের প্রভাবে প্রায় দুই লাখ ৮৮ হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার আশ্রয়হীন। আড়াই লাখ তাঁবু ও ভ্রাম্যমাণ ঘর গাজায় প্রবেশের কথা ছিল। ছয় হাজার ‘ত্রাণবোঝাই’ ট্রাক সীমান্তে আটকে আছে। গণমাধ্যম অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ‘আমরা বিশ্ব, (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) ডোনাল্ড ট্রাম্প ও (জাতিসংঘের) নিরাপত্তা পরিষদের কাছে জরুরি আবেদন জানাই, যাতে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।’
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে কাজ করা দলগুলো গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে। ওই হাসপাতালে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল বারবার আক্রমণ করে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ ওই স্থান থেকে ৩০টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধারে কাজ করছে। এ অবস্থায় গতকাল বুধবার এক দিনে আরও দুই ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: