• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুর্নামেন্টের ট্রফি আছড়ে ভাঙলেন ইউএনও

প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
টুর্নামেন্টের ট্রফি আছড়ে ভাঙলেন ইউএনও

ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সবার সামনে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি ভেঙে ফেলেছেন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চৈক্ষ্যং আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও শুক্রবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ইউএনওকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবাসিক যুব স্বাধীন সমাজ ক্লাব আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। শুক্রবার ছিল এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। এতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের আগে তিনি বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা যত দিন পর্যন্ত সহনশীল না হতে পারবেন, তত দিন ট্রফিগুলো আমানত হিসেবে থাকবে। আরেকটি ম্যাচ হলে তারপর দেবো।’

ইউএনওর বক্তব্যের জবাবে উপস্থিত সবাই ‘না না’ বলতে থাকেন। এরপর ‘যদি ট্রফি না থাকতো, আমরা খেলতাম না? আমি ট্রফিটা ভেঙে এখন খেলা শুরু করবো’ বলেই ট্রফি দুটি আছড়ে ভেঙে ফেলেন তিনি।

টুর্নামেন্টের আয়োজক আবাসিক যুব স্বাধীন সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ফাইনাল খেলায় আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেফারফাড়ি বাজার একাদশের খেলা ড্র হয়েছিল। পরে টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র একাদশ বিজয়ী হয়। কিন্তু রেফারফাড়ি বাজার একাদশ এতে আপত্তি জানায়। পরে রেফারি, খেলোয়াড়সহ সবাই মিলে বিষয়টির মীমাংসা করেন। আর কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ট্রফি বিতরণের সময় প্রধান অতিথি এভাবে ট্রফি ভেঙে ফেলবেন, সেটি তারা কল্পনাও করেননি।

চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, খেলায় বিজয়ী দল ঘোষণার সময় দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্ক হয়েছিল। ইউএনও মনে করেছিলেন, ট্রফি বিতরণ করলে দুই পক্ষের অসন্তোষ থেকে যাবে। এ জন্য বিতরণ না করে ভেঙে ফেলেছেন।

আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ ঘটনা নিলে লেখেন, ‘ইউএনও মেহরুবা ইসলাম আলীকদমের জনগণকে অসম্মান করেছেন।’

এ বিষয়ে মেহরুবা ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার তার ফোনে কল করলে তিনি ফোন ধরেননি।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। বিতর্ক থাকলে ট্রফি না ভেঙে নিজের হেফাজতে রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারতেন। এ রকম আচরণ করার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: