• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

কখন বুঝবেন আপনাকে চাকরিটি ছাড়তে হবে? 

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

ফন্ট সাইজ
কখন বুঝবেন আপনাকে চাকরিটি ছাড়তে হবে? 

ছবি: সংগৃহীত

কাজের পরিবেশ ইতিবাচক না হলে সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব বা একটা দিন ছুটি কাটালেও নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকা, আপনার কর্মজীবনের জন্য সবাই ক্ষতিকর। চাকরি সঠিক হলে তা আপনাকে নিরাপদ, সুখী এবং কর্মক্ষম রাখবে। বিপরীত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলে বুঝে নেবেন আপনি ভুল জায়গায় আছেন। কখন বুঝবেন আপনাকে চাকরিটি ছাড়তে হবে? আসুন জেনে নেই-

১. কাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ: কাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ করা হলো কোনোকিছুতে ভুল হওয়ার একটি শক্তিশালী লক্ষণ। এটি অতিরিক্ত কাজের চাপ, ব্যর্থতার ভয়, বা হিংসুটে সহকর্মীর কারণেও হতে পারে। কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা চাকরির নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে। এই অনুভূতিগুলি অব্যাহত থাকলে আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য কাজের পরিবেশ পরিবর্তন করা জরুরি হতে পারে।

২. ক্রমাগত শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ: আপনি যদি কাজ করতে গিয়ে ক্রমাগত শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ করেন তবে সেই কাজ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতে পারে। স্ট্রেস শুধুমাত্র আপনার কর্মক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে না, এটি স্বাস্থ্য, সম্পর্ক এবং সামগ্রিক সুখকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যদি ক্লান্তি লেগেই থাকে তবে চাকরি পরিবর্তন করার কথা ভাবতে পারেন।

৩. কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নেতিবাচক হলে: কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নেতিবাচক হলে সেখানে গসিপিং, অফিস পলিটিক্স ইত্যাদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে।নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যায় সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলতে থাকলে । এমন জায়গায় কাজ করা উচিত নয় যা আপনাকে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে, আপনার মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়।

৪. চাকরি ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্যহীনতা: যদি অফিসের পেছনেই দিনের সবটা সময় ব্যয় করতে হয় তবে ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছুই থাকবে না। এই ভারসাম্যহীনতা বড় বিরক্তি, হতাশা এবং ক্লান্তিকর অনুভূতির কারণ হতে পারে। ক্রমাগত দীর্ঘ সময় কাজ করা বা কাজের সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কাজ মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। এই অভ্যাস নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যকে ।

৫. কঠোর পরিশ্রম নিয়মিতভাবে উপেক্ষা করা হলে: যখন আপনার কঠোর পরিশ্রম নিয়মিতভাবে উপেক্ষা করা হয় বা আপনাকে ন্যায্য অর্থ প্রদান করা না হয়, তখন বুঝে নেবেন সেখানে আপনাকের কাজের মূল্যায়ন নেই। যখন আপনার অবদান বিবেচনা করা হয় না, অতিরিক্ত কাজ করার পরও অসংখ্যবার পদোন্নতির জন্য উপেক্ষিত হন এবং কাজের তুলনায় বেতন সামান্য দেয় তখন তা ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। 

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন: