ধার দেওয়া-নেওয়া নিয়ে সতর্ক হোন, জেনে নিন কিছু কৌশল
প্রতিকী ছবি
ধার বা ঋণ নেওয়া এবং দেওয়া অনেক পুরোনো রীতি, সব দেশে সব সমাজেই প্রচলিত। ব্যবসা কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কেউ নেন কেউ দেন। কিন্তু, বিপত্তি বাধে তখন যখন লেনদেনে দেখা দেয় অসুবিধা। কখনও কখনও ঋণ করার থেকেও বেশি ঝামেলা হয় ঋণ দিলে। আপনি তো সৎভবে প্রতি মাসে নিজের ধারের টাকা শোধ করছেন। কিন্তু, যিনি আপনার কাছে থেকে ধার নিয়েছেন সে তো আপনার ধারে কাছেও ঘেষছেন না। এ ভাবে যারা টাকা বা জিনিস ধার নিয়ে শোধ দিতে চান না, তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করা বেশ কঠিন। তা তিনি বন্ধু হোন, বা আত্মীয় কিংবা সহকর্মী। সম্পর্ক ভালো রেখে তাদের কাছ থেকে পাওনা টাকা পেতে গেলে একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে।
স্পষ্ট কথা বলুন: ঋণগ্রহীতাকে দৃঢ় এবং স্পষ্ট করে টাকা বা জিনিসের কথা জানান। টাকা বা জিনিস ধার নিয়ে অনেক সময় লোকে ভুলে যান। সামনাসামনি বা ফোনে তাঁকে টাকার কথা মনে করিয়ে দিন। ভালো লোক হলে তিনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জিনিস বা টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অযথা ঝগড়াঝাটি এড়ানোর এটাই সবচেয়ে ভালো দিক।
সময় বেঁধে দিন: মনে করিয়ে দেওয়ার পরও যদি ঋণগ্রহীতা টাকা বা জিনিস ফেরত না দেন তখন তাঁকে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। মানে তাঁকে বুঝিয়ে বলুন যে, এই তারিখের মধ্যে আপনার টাকা বা জিনিস ফেরত পাওয়া একান্ত প্রয়োজন। তাতে সে একটু হলেও চাপে থাকবে। এবং সব কাজ ফেলে ধার শোধ করার চেষ্টা করবে।
ধার শোধের বুদ্ধি দিন: হতে পারে ঋণগ্রহীতা আপনার থেকে অনেকটা টাকা ধার নিয়েছেন। তাঁর পক্ষে একবারে এত টাকা শোধ দেওয়া সত্যিই সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে তাঁকে সহজে ধার শোধের বুদ্ধি দিন। একবারে পুরো টাকা না দিয়ে একটু একটু করে টাকা ফেরত চান। অনেকটা মাসিক ইনস্টলমেন্টের মতো। তাতে সুশৃঙ্খল উপায়ে টাকা ফেরত মিলতে পারে।
লিখিত প্রমাণ: বড় অঙ্কের অর্থ বা মূল্যবান সম্পদ ধার দিলে অবশ্যই তা লিখিতভাবে দেওয়া উচিত। কাগজে উল্লিখিত ঋণ, যোগফল, পরিশোধের শর্তাবলী এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মিস করলে জরিমানা দেওয়ার কথা প্রাথমিক চুক্তিতে রাখুন। সেই চুক্তিতে উভয়কেই সই করতে হবে। লিখিতচুক্তি ঋণগ্রহীতাকে দায়িত্বশীল করবে। আপনিও আইনি সুরক্ষা পাবেন।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: