শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন
শীত এলেই বাড়ে অসুখ-বিসুখ। এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর মধ্যে চামড়া ফাটা, সর্দি-কাশি ও জ্বর অন্যতম। এসব থেকে বাঁচতে অনেকেই ছোটেন ডাক্তারের কাছে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, এসময় শরীরকে হাইড্রেট রাখাটা জরুরি। শরীরকে হাইড্রেট না রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও দেহের তাপমাত্রার ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী মেরিল্যান্ড পেইন অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শীতকালে খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখলেই সুস্থ থাকা যায়। তাই অসুস্থতার হাত থেকে বাঁচতে এসময় কোন কোন খাবারগুলো খাবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার
শীতকালে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণে সাইট্রাস জাতীয় ফলের বিকল্প নেই। শীতের সময় বেশি বেশি লেবু, পেয়ারা, কমলা ও নেক্টারের মতো ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দেওয়ার পাশাপাশি ফাইবারের ঘাটতিও মেটায়।
স্যুপ
কনকনে শীতে শরীর চাঙা রাখতে অত্যন্ত উপকারী ও উপাদেয় একটি খাবার হলো স্যুপ। বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মাংস দিয়ে বানানো স্যুপ শরীরের পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ করবে।
ঘি
দুগ্ধজাতীয় খাবার হওয়ায় অনেকেই মনে করেন ঘি খেলে ওজন বেড়ে যায়। তবে শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য ঘি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ঘি এমনসব উপাদানে পরিপূর্ণ, যা অস্থিসন্ধির সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতারও উন্নতি করে। এছাড়া শীতকালে ত্বক বিবর্ণ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা কাটাতেও ঘি কার্যকর।
মধু
সুস্থ থাকতে শীতকালসহ অন্য সময়ও চিনি খাওয়া উচিত নয়। এর বিকল্প হিসেবে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। এসব পদার্থ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া মধু ঠান্ডায় শরীর গরম রাখতেও ভূমিকা রাখে।
পালং শাক
পালং শাককে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ডিপো বলা হয়। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলে। ক্যানসার প্রতিরোধেও পালং শাক কার্যকর। এসব উপকার ছাড়াও এই শাক শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সহায়তা করে।
মূলজাতীয় সবজি
গাজর, মুলা, বিট ও শালগমের মতো মূলজাতীয় সবজি শীতকালীন খাবার হিসেবে আদর্শ। এগুলো শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে কাজ করে। শীতের সময় ফিট থাকতে নিয়মিত এই ধরনের সবজি খাওয়া জরুরি।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: