• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গায়ের গন্ধে বুঝে নিন ডায়াবেটিস আছে কি না

প্রকাশিত: ১১:৩১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৩:০২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
গায়ের গন্ধে বুঝে নিন ডায়াবেটিস আছে কি না

ডায়াবেটিসকে বলা হয় সকল রোগের জন্মদাতা। যে রোগ নিঃশব্দে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। তবে নিয়ম মেনে খাবার-ওষুধ খেলে ও শরীরচর্চা করলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু তা পুরোপুরি নিরাময় হয় না। 

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

পিপাসা বেড়ে যাওয়া, ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ, বার বার খিদে পাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও ক্লান্ত বোধ করা, ওজন কমে যাওয়া, ত্বকে কালচে ভাব, ক্ষত না শুকানোর মতো লক্ষণগুলোকে ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ বলে ধরা হয়ে থাকে। এ ছাড়া গায়ের গন্ধও চিনিয়ে দেবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীকে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কিটোন অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে বলে শরীরে গন্ধ বেশি হয়। এতে নিজের ও পাশে বসা ব্যক্তির শরীরের গন্ধ বলে দেবে তার ডায়াবেটিস আছে কি না। 

আগে জেনে নেয়া যাক- কিটোন অ্যাসিড কী?

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন না থাকায় রক্তে থাকা শর্করা পরিমিত শক্তি উৎপাদন করতে পারে না। শক্তি উৎপাদনের জন্য যকৃৎ ক্রমাগত স্নেহ জাতীয় পদার্থ ভাঙতে চেষ্টা করে। ফলস্বরূপ কিটোন নামক অ্যাসিড তৈরি হয়। রক্ত ও প্রস্রাবেও বিপজ্জনক হারে বাড়তে থাকে এই অ্যাসিডের মাত্রা। রক্তে পিএইচের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়।

শরীরে কিটোন অ্যাসিড অত্যধিক হারে বেড়ে গেলে, তা সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাস, ঘাম ও প্রস্রাবের গন্ধের মাধ্যমে জানান দেয়। কখনও ফলের ঝাঁঝাল অ্যামোনিয়া বা মলের গন্ধ পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

'কিটোঅ্যাসিডোসিস'-এ আক্রান্ত হতে পারেন কারা?

সাধারণত টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘ দিন গুরুতর অসুস্থ থাকলে, অস্ত্রোপচার হলে বা নিয়মিত ইনসুলিন না নিলে কিটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিটোঅ্যাসিডোসিস হয় না বললেই চলে। তবে দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার মাত্রা কিটোঅ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদেরও কিটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে। দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকলে শরীরে গ্লুকোজের অভাব দেখা দেয়। শক্তি উৎপাদনের জন্য শরীর বাধ্য হয়ে কিটোজেনেসিস প্রক্রিয়া শুরু করে।

একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, খাবারের তালিকায় সুষম ও পরিমিত শর্করা সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। এতে কিটোঅ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: