• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পদ্মা পাড়ি দিতে প্রস্তুত চীন থেকে আনা ট্রেনের ১০০ বগি

প্রকাশিত: ০০:৪২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পদ্মা পাড়ি দিতে প্রস্তুত চীন থেকে আনা ট্রেনের ১০০ বগি

ফাইল ছবি

পদ্মা সেতু প্রকল্পের আওতায় চীন থেকে আনা ১০০টি কোচের (বগি) সবকটির কমিশনিং ও ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনিং শেষে কারখানা থেকে বের করে ট্রায়াল রান করা হয় কোচগুলোর। ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছোটার জন্য প্রস্তুত আছে কি না, তা চালিয়ে দেখা হয়।

তবে এখনও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অপেক্ষামান আছে ৩০টি কোচ। প্রায় ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আনা এসব কোচ কমিশনিং করা হয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ছয় ধাপে আসা কোচগুলোর ৭০টি এরইমধ্যে চলছে বিভিন্ন রুটে। অবশিষ্ট ৩০টি কোচ ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি পেলেই সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা থেকে বের যুক্ত হবে রেলবহরে।

এরইমধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙা স্টেশন পর্যন্ত চলেছে ট্রেন। আগামী মাস থেকেই শুরু হবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন যাত্রা। আর এর জন্য চীন থেকে আনা ১০০টি কোচের মধ্যে সর্বশেষ ২০টি কোচেরও কমিশনিং শেষ হয়েছে এই সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। এগুলো এখন ট্রায়াল রানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এই কোচগুলোতে নানাবিধ আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।

আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। এ সময় এই পথে চীন থেকে আনা আধুনিক ও নতুন কোচ এই রেলপথে চলাচল করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সৈয়দপুর রেল কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ট্রেনের সিটগুলো আগের কেনা যেকোনো কোচের চেয়ে আরামদায়ক। এখানে থাকছে মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার সুবিধা। প্রায় সব ট্রেনেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সুবিধার কথা বলা থাকলেও এই কোচগুলোতে রয়েছে আলাদা সিট, ওঠা-নামার ব্যবস্থা এমনকি আলাদা টয়লেটও। হ্যান্ডেলের পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খোলা ও বন্ধ হওয়ার সুবিধা রয়েছে। স্লিপার কোচগুলোকে করা হয়েছে আগের চেয়েও আরামদায়ক। এমনকি রান্নাঘরেও যুক্ত হয়েছে আধুনিক সুবিধা। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কোচেই রয়েছে সিসি ক্যামেরা।

২০১৮ সালে কোচ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম চালান আসে এ বছরের জানুয়ারিতে। ছয় ধাপে ১০০টি কোচ আনা হয়। বিশেষ পদ্ধতিতে সৈয়দপুর কারখানায় নিয়ে এসে কমিশনিং করা হয় কোচগুলোর। এয়ার ব্রেক, স্প্রিং, পানি বিদ্যুৎসহ যাবতীয় খুটিনাটি চেকের পর কোচগুলো পাঠানো হয় ট্রায়াল রানে। কমিশনিংয়ে দেশের টেকনিশিয়ান ও প্রকৌশলীর পাশাপাশি কাজ করেছেন চীনা কোম্পানি সিআরইসির টেকনিশিয়ান ও প্রকৌশলীরা। ওয়ারেন্টি অনুযায়ী দুই বছর সার্ভিস দেবে তারা।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী (ওয়াগন শপ), মো. নিজামুল হক বলেন, প্রায় ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের সিআরই সিতাংশান কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হয় কোচগুলো। এই ১০০ কোচের মধ্যে ২৫টি নন-এসি চেয়ার কোচ, ৩৫টি এসি চেয়ার কোচ, ১৫টি স্লিপার কোচ, ১৫টি ডাইনিং ওগার্ড রেক সংযুক্ত কোচ এবং ১০টি পাওয়ারকার রয়েছে। প্রতিটি কোচে আসন ১০০টি।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক মো. সাদেকুর রহমান বলেন, স্বল্প লোকবল নিয়েও নয় মাসে প্রতিটি চালানের কোচ ঠিকঠাক কমিশনিং সম্পন্ন করতে পেরেছেন তারা। এর মধ্যে ৭০টি কোচ সংযুক্ত হয়েছে বিভিন্ন রুটে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: