• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

হরতালের নামে যানচলাচল ব্যাহত করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ০০:০৭, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ০০:১১, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
হরতালের নামে যানচলাচল ব্যাহত করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

হরতালের নামে কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা এবং যানচলাচল ব্যাহত করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। শনিবার সমাবেশ থেকে এ হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, বিএনপি'র শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশের হামলা ও গুলিতে যুবদল নেতা নিহত ও দুই হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছে।  একইসঙ্গে পুলিশের পরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে ঘোষিত দেশব্যাপী রবিবারের হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 
 
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মির্জা আলমগীর বলেন, আজ বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের  সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত  তাণ্ডব ও সশস্ত্র হামলা নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের এবং পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিফলন বিএনপির কর্মসূচিতে সশস্ত্র এবং রক্তাক্ত আক্রমণ। বেশ কয়েকদিন ধরে পুলিশের গণগ্রেপ্তার, হামলা এবং হুমকি ধামকি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঠি হাতে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণারই বাস্তবায়ন হয়েছে আজ। 

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মহাসমাবেশে যোগদানে বিরত রাখতে গ্রেপ্তার ও মামলার হিড়িক চালিয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে আজ যখন দেখলো সকালেই মহাসমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে, মহাসমাবেশ কাকরাইল ছাড়িয়ে পশ্চিমপার্শ্বে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে তখন পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাঠি নিয়ে, অস্ত্র নিয়ে বিএনপির লোকদের উপর হামলা করে।  তারা গুলি করতে করতে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ছুড়তে ছুড়তে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত চলে আসে। পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলির ঘটনায় মঞ্চে থাকা সিনিয়র নেতারাও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত  হন।  এসময় অসংখ্য নেতা-কর্মীও আহত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিলানি, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য গণমাধ্যমের কর্মী।

তিনি আরও বলেন, আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে পুলিশ বিএনপির দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে । বাস, ট্রেন ও লঞ্চ পারাপার বন্ধ করে দিয়ে যখন সরকার আমাদের মহাসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। তারা যখন দেখছে বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশে লাখ লাখ লোক যোগ দিয়েছে তখন তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা করে আমাদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সম্পূর্ণ মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপির সমাবেশে হামলা করিয়েছে। আমি বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাাচ্ছি। আটককৃতদের মুক্তি দাবি করছি, আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2